• ফুটবল

শুভ জন্মদিন সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র- সময়ের সেরা একজন...

পোস্টটি ১১৩২৫ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।
প্রতিটি বিশ্বকাপে একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী এবং অন্যন রেকর্ডধারী দেশ ব্রাজিল। ছন্দ, শৈল্পিকতার অপূর্ব নিদর্শন ব্রাজিলের ফুটবলে। তাই সারা পৃথিবীর সিংহভাগ সমর্থকপূষ্ঠ এই দেশটির খেলা দর্শকদের আকৃষ্ঠ করে। একমাত্র দেশ ব্রাজিল যারা পাঁচবার বিশ্বকাপ তাদের ঘরে তুলে নিয়েছে। এই ব্রাজিল দলেই জম্ম হয়েছে শতাব্দীর সেরা ফুটবলারদের। যেমন গারিঞ্জা পেলে, জিকো, সক্রেটিস, রোমারিও, রোনাল্ডো, রোলান্ডদিনহোর মতো বিখ্যাত সব ফুটবলারদের।তাদের মতোই একজন হওয়ার পথে আছেন একজন, তিনি নেইমার জুনিয়র।
 
পেলে, ম্যারাডোনার মতো নেইমারের জীবনও দারিদ্রে ভরপুর ফুটপাথ, সমুদ্র সৈকত কিংবা বস্তিতে খেলতে খেলতে বেড়ে ওঠা, এক সময় বিশ্বসেরা তারকা বনে যাওয়া। দক্ষিণ আমেরিকার সব ফুটবল গ্রেটের ক্ষেত্রেই এর যে কোন একটি প্রযোজ্য। নেইমার দ্য সিলভা সান্তোস জুনিয়রের উত্থানও অন্যসব ফুটবল গ্রেটের মতোই। দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ আর জীবিকার তাগিদে ফুটবলকে ধ্যান-জ্ঞান ও পেশা হিসেবে বেছে নেয়া।পেলের সান্নিধ্য ছোটবেলায়ই পেয়ে ছেন নেইমার ম্যারাডোনার সান্নিধ্য ও ছোটবেলায়ই পেয়েছেন নেইমার।
নেইমার সবে মাত্র “সান্তোসের” জুনিয়র দলের সিড়ি বেয়ে পেশাদার লীগে পা রেখেছে। এমন সময় এক বিকেলে ইংল্যান্ডের ক্লাব ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড এর এক স্কাউটের নজড় পড়ে নেইমারের দিকে।ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড নেইমারকে কেনার জন্য ১২ মিলিয়ন পাউন্ডের অফার দেয়। এতো বড় অংকের অফার পাওয়া সত্ত্বেও সেসময় “সান্তোস” নেইমারকে বিক্রি করেনি। কেননা তারা নেইমারের মধ্যে এমন কিছু দেখেছিলেন যা এই প্রস্তাবের কাছে তুচ্ছ।
 
বিশ্বফুটবলের মানচিত্রে এভাবেই পরিচিত হয়ে উঠলেন নেইমার দা সিলভা সান্তোস জুনিয়র,সংক্ষেপে নেইমার।ইউরোপের ক্লাবগুলোর হুড়োহুড়ি নেইমার তখনো ব্রাজিলের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পায় নি। এরই মধ্যে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড বড় অংকের টাকা অফার করেও নেইমারকে দলে নিতে পারে নি। তাই বলে ইউরোপের অন্য ক্লাবগুলো বসে থাকে নি। এরপর ইউরোপের আরেক জায়ান্ট চেলসি নেইমারকে দলে নিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সান্তোস কর্তৃপক্ষকে সবসময় তটস্থ থাকতে হয়েছে নেইমারকে ইউরোপের ক্লাবগুলোর স্কাউটদের লোভনীয় ফাঁদ থেকে আগলে রাখত।
 
সান্তোসের হয়ে প্রথম মৌসুমে খুব বেশি সফলতা অর্জন করতে পারেননি নেইমার। কেননা প্রথম দিকে নেইমারকে খেলানো হতো না। ২০০৯ সালের ১১ই এপ্রিল ব্রাজিলিয়ান কাপের শেষের দিকে সুযোগ পেয়ে সেমিফাইনালে পালমেইরাসের বিপক্ষে জয়সূচক গোল করেও সান্তোসকে ফাইনালে তুলতে পারেননি। পরের মৌসুমে সুযোগ পেয়েই ঝলসে উঠলেন। ২০১০ সালের ব্রাজিলিয়ান কাপের শিরোপার সাথে সাথে অর্জন করেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও। এই লীগে নেইমার ১৯ খেলায় ১৪ গোল করেন। সে সময়ই চারিদিকে নেইমার নেইমার রব পড়ে যায়। নেইমারের নৈপুণ্যে সান্তোস ব্রাজিলিয়ান লিগ কাপ আর কোপা লিবার্তাদোরেসের ট্রেবল শিরোপা অর্জন করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাজিলিয়ানরা নেইমারকে পেলের উত্তরসূরি হিসেবে ভাবতে শুরু করে এবং ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ হয় নেইমারের।
 
নেইমারের বাবা ‘সিনিয়র নেইমার দ্যা সিলভা’র ইচ্ছে ছিল বড় মাপের ফুটবলার হয়ে ভাগ্যের চাকা ঘোরানোর। সেই লক্ষ্যে ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের মধ্যাঞ্চলের শহর সাও ভিনসেন্ট ছেড়ে সাও পাওলোর মগি দাস ক্রুজেস শহরে পাড়ি জমান। কিন্তু পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় সিনিয়র নেইমারের।নিদারুণ ওই দুঃসময়ে সিনিয়র নেইমারের ভালবাসার প্রতীক হিসেবে ঘর আলো করে আসে ব্রাজিলের বস্তি থেকে ফুটবল বিশ্ব শাসন করতে আরও একজন বিস্ময়বালক। এরপর স্বপ্নের পরিধি বেড়ে যায় তার। নিজের অপূর্ণ ইচ্ছা ছেলেকে দিয়ে পূরণের স্বপ্ন দেখতে থাকেন। এ কারণে অভাবের সংসার হলেও ছেলেকে এর আঁচ লাগতে দেননি। সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন উত্তরসূরির চাওয়া পূরণ করতে। ছোট্ট ছেলের প্রতিভা ক্ষুরধার হওয়ায় কাজটাও সহজ হয়। শুরুটা সেই রাস্তার ফুটবল দিয়েই সাও পাওলোর রাস্তায় ফুটবল খেলতে খেলতে ফুটবলের সঙ্গে প্রেম হয়ে যায় সেদিনেরছোট্ট নেইমারের। তবে নেইমারের বিস্ময়কর উত্থানের শুরু ২০০৩ সাল থেকে।
 
ওই বছর তিনি কিশোর প্রতিভা হিসেবে কিংবদন্তি পেলের সাবেক ক্লাব সান্তোসে যোগ দেন। ব্রাজিল জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার আগে থেকেই নেইমারের নাম ডাক থাকলেও কনফেডারেশন্স কাপ নেইমারের তারকখ্যাতি বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে। ২১ বছর বয়সী এই প্রাণচঞ্চল তরুণ ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত নবম ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে আরেকবার চিনিয়েছেন নিজের জাত। বিশ্বের বাঘা ফুটবলারদের পেছনে ফেলে আসরের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন। এ আসরে নেইমার ৪ গোল করেন। নিজ দেশ ব্রাজিলকে ঐতিহাসিক হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ে কারিগরের ভূমিকা পালন করেন। ফুটবল বোদ্ধাদের মতো কনফেডারেশন্স কাপই নেইমারের ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। এর আগে অবশ্য ব্রাজিলের জার্সি গায়ে ২০১১ সালের কোপা আমেরিকা খেলেছিল নেইমার। আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত সেই টুর্নামেন্টে নেইমার ১ম রাউন্ডের ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ২ গোল করে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই টুর্নামেন্টে ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বাদ হয়ে যায়।এরপর ২০১২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ব্রাজিল দলের সঙ্গী হন নেইমার। ১ম ওয়ার্ম আপ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিল ২-০ গোলে জিতে, যার দুটি গোলেই ছিল নেইমারের অবদান। পুরো টুর্নামেন্টে নেইমার নিজে তিনটি গোল করেন এবং বেশ কিছু গোলে ভূমিকা রাখেন। এই টুর্নামেন্টে ব্রাজিল রৌপ্য পদক জয় করেন।
 
 
হালকা পাতলা গড়নের এই ফুটবলারটি দুই পায়ের একজন পরিপূর্ণ ফুটবলার। আক্রমনভাগের এই ফুটবলারটি ছন্দময় ফুটবল খেলতে পছন্দ করেন। বল নিয়ে দ্রুত গতিতে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ তছনছ করতে নেইমার যথেষ্ট দক্ষ। নেইম্যারাডোনা আর্জেন্টাইনরা এই বিস্ময় প্রতিভার খেলার নিখুঁত কৌশল দেখে তাঁদের চোখে সর্বকালের সেরা ম্যারাডোনার সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে নাম দিয়েছিলেন ‘নেইম্যারাডোনা।’ আর ব্রাজিলিয়ানরা ডাকতে শুরু করেছিলেন ‘নতুন পেলে’ নামে। সান্তোস যুগের সমাপ্তি পেলে একসময় নেইমারকে পরামর্শ দিয়েছিলেন সারা জীবন সান্তোসেই থেকে যাওয়ার জন্য। কিন্তু কে না জানে, পেশাদার ফুটবলের জগৎটা এমনই কঠিন যে এখানে খেলোয়াড়রা চাইলেও আসলে উপেক্ষা করতে পারে না অনেক কিছু। এরই ফলশ্রুতিতে সমেয়র সেরা এই স্ট্রাইকার ৩০ জুলাই, ২০১৩ ইং তারিখে পোল্যান্ডের ক্লাব লেসিয়া দানস্কের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে বার্সেলোনার হয়ে মাঠে নামেন। ৫৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস ছেড়ে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় নাম লেখান নেইমার। প্রশংসার সাথে সাথে বিতর্কও রয়েছে হালকাপাতলা গড়নের কারণে সত্যিই দ্রুত পড়ে যান, নাকি ইচ্ছে করেই বেশি অভিনয় করেন প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলার জন্য? নেইমারকে নিয়ে এই বিতর্কটা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্কটা আরও উসকে দিয়েছে নতুন এক পরিসংখ্যান। লা লিগায় এখন পর্যন্ত বেশি ফাউলের শিকার হয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। তাঁর কারণে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের কার্ড দেখার ঘটনাও সবচেয়ে বেশি। চেলসি, ভ্যালাদোলিদ, সেল্টিকের কোচেরা তো বেশ ক্ষেপেই আছেন নেইমারের ওপর। তাঁদের মতে, ব্রাজিলিয়ান এই।ফরোয়ার্ড ইচ্ছে করেই পড়ে যান সুবিধা আদায়ের জন্য। তবে ভিন্নমতও আছে অনেকের। নেইমারের খেলার ধরন, দ্রুতগতির ড্রিবলিংয়ের কারণে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা ফাউল করতে বাধ্য হন বলেও মনে করেন অনেকে। স্প্যানিশ পত্রিকা ‘মার্কা’ পরিচালিত একটি জরিপ তেমনটাই সাক্ষ্য দিয়েছে।জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৩.৯ শতাংশই মনে।করেন যে, নেইমার সত্যিই ফাউলের শিকার হন। ৩৬.১ শতাংশের মতে, নেইমারের মধ্যে দ্রুত পড়ে যাওয়ার প্রবণতা আছে।
 
কয়েক বছর পর দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজের পথেঘাটে হয়তো হাজারো নেইমারের দেখা মিলবে! এক গবেষণায় জানা গেছে, বলিভিয়ায় প্রতি ১০০ শিশুর মধ্যে ২০ জনের নাম রাখা হচ্ছে ‘নেইমার’! বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে
১৭ বছরের মধ্যে রাজধানী লা পাজের বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের নাম হবে নেইমার। ব্রাজিলে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবলার এখন স্ট্রাইকার নেইমার সিলভা। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল পরাশক্তি ব্রাজিলের মাটিতে সম্প্রতি চালানো এক সমীক্ষা থেকে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। আসুন নেইমার সম্পর্কে অজানা ৭টি তথ্য জেনে নেই-
 
 
১) মাত্র ১৯ বছর বয়সে ২০১১ এবং ২০১২ সালে দক্ষিণ আমেরিকার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন।
২) ২০০৩ সালে ২১ বছর বয়সে তিনি সর্বপ্রথম ‘এ’ ক্লাব সান্তোস এর সাথে চুক্তি করেন। এরপর দীর্ঘদিন সেখানে কাটিয়ে এবং বিভিন্ন রেকর্ড গড়ে তিনি বার্সেলোনায় আসেন।
৩) ২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি,জন্মদিনের দিন নেইমার তার ক্যারিয়ারের শত তম গোলটি করেন। মাত্র ২০ বছর বয়সে ১০০ গোল করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
৪) ৭ বছর আগে নেইমার রিয়াল মাদ্রিদের সাথে চুক্তি করার প্রায় সবকটি ধাপ পেরিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস নেইমারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে নিজেদের ক্লাবেই রেখে দেয়। তিন বছর আগে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড এর থেকে নেইমার ১২ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রস্তাব পায় কিন্তু সান্তোস তা ফিরিয়ে দেয়।
৫) ব্রাজিলে বহু তারকা ফুটবলার এসেছেন যুগে যুগে। কিন্তু নেইমার একমাত্র ব্রাজিলিয়ান তারকা যার ছবি এসেছে বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে।
৬) হতে পারে নেইমারের বয়স অনেক কম। কিন্তু ফরবিসের তথ্য অনুযায়ী ২০১২ সালে নেইমার বিশ্বের ৭ নম্বর ধনী ফুটবল তারকার খেতাব পেয়েছিলেন।
৭) নেইমারকে কিনতে বার্সেলোনার খরচ করতে হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। বার্সেলোনার ইতিহাসে নেইমার সবচাইতে দামী খেলোয়ারের তালিকায় নবম স্থানে আছে। নেইমারকে কিনতে বার্সেলোনার খরচ হয়েছিলো ৫৭ মিলিয়ন ইউরো।
 
 
  • নেইমার জুনিয়রের সম্মান ও অর্জন-
★ সান্তস-
 
চ্যাম্পিওনাতো পৌলিস্তা (৩): ২০১০, ২০১১, ২০১২।
কোপা দো ব্রাজিল (১): ২০১০
কোপা লিবারতোদাস (১): ২০১১
রেকোপা সুদামেরিকানা ( ১): ২০১২
 
★ বার্সেলোনা-
 
সুপারকোপা দে স্পানা ( ১): ২০১৩
চ্যাম্পিয়নস লীগ ২০১৩-১৪, লা-লীগা ২০১৩-১৪, স্পেনিশ সুপার কাপ ২০১৩-১৪।
 
 
★ ব্রাজিল-
 
 
  • চ্যাম্পিওনাতো পৌলিস্তার সেরা যুব খেলোয়াড় (১): ২০০৯।
  • চ্যাম্পিওনাতো পৌলিস্তার সেরা ফরোয়ার্ড (৪): ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৩।
  • চ্যাম্পিওনাতো ব্রাসিলেইরো সিরি এ-র সেরা ফরোয়ার্ড (৩): ২০১০, ২০১১, ২০১২।
  • দক্ষিণ আমেরিকান যুব চ্যাম্পিয়নশিপ ( ১): ২০১১।
  • সুপার ক্লাসিকো দে লাস আমেরিকাস (২):২০১১, ২০১২।
  • অলিম্পিক রৌপ্য পদক (১): ২০১২।
  • ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ ( ১): ২০১৩।
  • চ্যাম্পিওনাতো পৌলিস্তার সেরা খেলোয়াড় (৪): ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৩।
  • দক্ষিণ আমেরিকান যুব চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা খেলোয়াড় ( ১): ২০১১।
কোপা লিবারতোদাসের সেরা খেলোয়াড় ( ১): ২০১১।
চ্যাম্পিওনাতো ব্রাসিলেইরো সিরি এ-র সেরা খেলোয়াড় ( ১): ২০১১।
রেকোপা সুদামেরিকানার সেরা খেলোয়াড় (১): ২০১২।
ফিফা কনফেডারেশন কাপের গোল্ডেন বল (১): ২০১৩।
বর্ষসেরা যুব খেলোয়াড় ( ১): ২০১১।
চ্যাম্পিওনাতো ব্রাসিলেইরো সিরি এ চ্যাম্পিয়নশিপ স্কোয়াড ( ৩): ২০১০, ২০১১, ২০১২।
কোপা লিবারতোদাস চ্যাম্পিয়নশিপ।স্কোয়াড ( ১): ২০১২।
আর্থার ফ্রাইডেনরেইচ পুরষ্কার ( ২): ২০১০, ২০১২।
আরমান্দো নগুইরা ট্রফি (২): ২০১১, ২০১২
গোল্ডেন বল (১): ২০১১ -
ম্যাগাজিন প্লাসার কর্তৃক নির্বাচিত ব্রাজিলিয়ান লীগের সেরা খেলোয়াড়।
সিলভার বল (২): ২০১০, ২০১১ -ম্যাগাজিন
প্লাসার কর্তৃক নির্বাচিত ব্রাজিলিয়ান লীগের সেরা ফরোয়ার্ড।
সিলভার বল হর্স কঙ্কারস (১): ২০১২
গোল্ডেন বুট (৩): ২০১০, ২০১১, ২০১২ -ব্রাজিলের সকল প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক গোল
কোপা দো ব্রাজিলের বেশি গোলদাতা ( ১): ২০১০।দক্ষিণ আমেরিকান যুব চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ( ১): ২০১১ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ব্রোঞ্জ বল (১): ২০১১ বর্ষসেরা দক্ষিণ আমেরিকার খেলোয়াড় (২): ২০১১, ২০১২।
ফিফা পুস্কাস পুরষ্কার (১): ২০১১।
চ্যাম্পিওনাতো পৌলিস্তার বেশি গোলদাতা ( ১): ২০১২।
কোপা লিবারতোদাসের বেশি গোলদাতা
(১): ২০১২।।
ফিফা কনফেডারেশন কাপের ব্রোঞ্জ স্যু (১): ২০১৩।
ফিফা কনফেডারেশন কাপের ড্রিম টিম ( ১):
২০১৩। 
 
এগুলো কেবল শুরু, কোথায় গিয়ে শেষ হবে তা আল্লাহ মালুম। তবে ক্যারিয়ার শেষে যে নেইমার নামটি লিজেন্ডদের কাতারে থাকবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। নেইমারকে নিয়ে খুব বেশি লিখতে পারলাম না, লিখে শেষ করা যাবেনা তাকে নিয়ে কথা। নেইমার কে শুধু হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হবে।।
 
© আহমদ আতিকুজ্জামান