তামিমের ডায়েরী থেকে...
পোস্টটি ৪২১১৭ বার পঠিত হয়েছেতাঁর কীর্তি মা-ভাই, চাচা বা অন্যরা সবাই দেখলেও, দেখেননি শুধু বাবা। তাই এই ডায়রীতে অনেক সময়ই হয়তো তিনি বাবাকে তাঁর কীর্তি জানিয়েছেন। বাবার সাথে কথা বলেছেন। আনন্দ-বেদনার গল্প লিখেছেন।
এখন এই ডায়েরী কীভাবে আমাদের হাতে এলো, সেই প্রশ্ন অবান্তর। তার’চে আসুন আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেটের অবিসংবাদিত শ্রেষ্ঠ ওপেনারটির ডায়েরীর পাতা উলটে দেখি, কি আছে সেখানে!
তারিখ নেই...
জাতীয় দলে ডাক পেলাম আজ। কি যে ভালো লাগছে! বাবা, তোমাকে খুব মনে পড়ছে। তুমি দেখে যেতে পারলে না এই দিন। অনেক দায়িত্ব এসে পড়ল কাঁধে! আমি কি পারবো, বাবা? তোমার নাম রাখতে? চাচ্চুর মান রাখতে? ভাইয়ার মতো তোমাদের মুখ উজ্জ্বল করতে পারবো তো? আমার কি ভয় করছে, বাবা?
ভয়কে জয় করার শিক্ষা দিয়েছিলে তুমি। দেখো, আমি ঠিক পারবো। তোমার শিক্ষা মিছে হতে দেবো না।
১৭.০৩.০৭-পোর্ট অব স্পেন
আমরা ভারতকে হারিয়ে দিয়েছি আজ। অবিশ্বাস্য ব্যাপার না! ডাউন দ্য উইকেটে এসে জহির-মুনাফদের খেলেছি। সবাই তাজ্জব বনে গেছে। খুব প্রশংসা করছে আমার। গতকাল থেকে মনটা ভীষণ খারাপ ছিল। রানা ভাই হঠাৎ মারা গেলেন। বাবা, তোমার সাথে কি রানা ভাইয়ার দেখা হয়েছে? আমি আর লিখতে পারছি না। চোখে পানি এসে গেছে। জানি না কিসের অশ্রু! বিচ্ছেদ বেদনার নাকি বিজয় আনন্দের?
১২.০৭.০৯-কিংস্টন
টেস্ট সেঞ্চুরীয়ান! আহ, আমি অবশেষে একজন টেস্ট সেঞ্চুরীয়ান! আরো দ্বিতীয় ইনিংসে, ভাইয়ার মতো। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিনদিন ধরে ছড়ি ঘুরিয়েছে এই টেস্টে। চতুর্থ দিনে এসে লাগামটা নিতে পারলাম আমরা। আমার সেঞ্চুরীর মাধ্যমে সেই লাগাম এসেছে বলে কি যে ভালো লাগছে! ১২৮ রানে থেমে যেতে হয়েছে বলে দুঃখও লাগছে খানিকটা।
১৬.০৮.০৯-বুলাওয়ে
অবিশ্বাস্য একটা জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছি। এখনও যেন বিশ্বাস করতে পারছি না। পরশুর ম্যাচটার পর থেকে ভীষণ রাগ হচ্ছিল নিজের উপর। এমন ব্যাটিং উইকেটে, এইরকম বোলিং লাইন আপের বিপক্ষে রানটা চেজ করতে পারলাম না! আবারও যখন একই রকম টার্গেট পেলাম আজ, নিজের সাথেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফেলেছিলাম, যেভাবেই হোক চেজটা করবোই।
ম্যাচ শেষ করে আসতে পারতাম, হঠাৎ কি যে হলো, প্রাইসের বলটাকে ওভাবে মারতে গেলাম! ধ্যাৎ। অবশ্য ১৫৪ দিয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ওয়ানডে ইনিংসটা খেলে ফেলেছি। আগের সর্বোচ্চ ১৩৪ সাকিবের ছিল, কানাডার বিপক্ষে। ওইদিন আমি কিছু করতে পারিনি, আজ সাকিবকেও তেমন কিছু করতে দিইনি। শোধবোধ, হা হা হা।
সিরিজও নিশ্চিত হয়ে গেছে। ক’দিন আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও জিতেছি। সময়টা খুবই ভালো যাচ্ছে বাংলাদেশের, আমারও।
৩০.০৫.১০-লন্ডন
বাবা, আমি আজ লর্ডসে সেঞ্চুরী করেছি। নাম তুলেছি অনারারী বোর্ডে। ছেলেবেলায় তুমি গল্প শোনাতে না এই মাঠের, অনার্স বোর্ডের! এখন সেই বোর্ডে তোমার ছেলের নাম জ্বলজ্বল করবে, বাবা! তোমার নামও। আমার সাথে যে জুড়ে আছো তুমিও, বাবা!
ইংলিশ ভদ্রলোকদের চেহারা যদি দেখতে! এমন পিটিয়েছি না! সেঞ্চুরীতে কীভাবে পৌঁছলাম, জানো? ব্রেসনানের ওভারে ৪, ৪, ২ তারপর আবার ৪, ধুম করে ৮৭ থেকে ১০১ এ পৌঁছে গেলাম! সেঞ্চুরীটা হলো ৯৪ বলে। কোনো বাংলাদেশী ব্যাটসমস্যানের দ্রুততম!
রাজীব ভাই বোলিংয়ে পাঁচ উইকেট পেয়ে অনার্স বোর্ডে নাম তুলে বসেছিল। আমার কত ইচ্ছে ছিল, নাম তুলবো। ৫৫ করে আউট হয়ে গেলাম। দুষ্টুমি করে বললাম, ৫০ করলেই নাম তুলে দিলে হয় না? ওরা বলে কি, জানো? ‘নাম তুলতে হলে তোমার একশো-ই করতে হবে।’ যেনো একটু খোঁচা টের পেলাম। ব্যস! আর যাই কোথায়। আমাকে তো চেনোই। আমিও পালটা জবাব দিলাম, তাহলে আমি একশোই করবো। আজ সেঞ্চুরীর পর মাঠ থেকেই এঁকে বুঝিয়ে দিয়েছি, নামটা তোমাদের বোর্ডে তুলে নাও বাছা!
০৫.০৬.১০-ম্যানচেস্টার
শ্বেতাঙ্গ ভদ্রলোকদের মুখে একদম ঝাঁমা ঘষে দিয়েছি আজ। মাস কয়েক আগে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিল ওরা। সেখানে খুব পেটাচ্ছি দেখে, পিটারসেন বললো, ‘পারলে ওল্ড ট্রাফোর্ড এসে মেরে দেখিয়ো!’ আজ সেই ওল্ড ট্রাফোর্ডেই সেঞ্চুরী করেছি। এত আনন্দের দিনে দুঃখ একটাই, অল্পের জন্য ফলোঅন এড়াতে পারিনি আমরা। নইলে পিটারসেন ব্যাটার সঙ্গে একচোট হয়ে যেত!
এই বছর আসলে খুব ফর্মে আছি। ইংল্যান্ডে এসে রান পেয়েছি। দেশেও রানে ছিলাম। ভারতের বিপক্ষে সেই ১৫১ এর পর সেঞ্চুরীর কাছে গিয়েও ফিরতে হচ্ছিল। এখানে এসে সে ধাঁধা ঘুচে গেছে। তবে এখন আরেক সমস্যা দেখছি, সেঞ্চুরী বড় করতে পারছি না। সেট হয়ে গেলে দল আমার কাছে আরো বড় ইনিংস চায়। আমি সেটা ডেলিভার করতে পারছি না।
দলের জন্য, দেশের জন্য, আমাকে আরো বড় ইনিংস খেলতেই হবে। ক্রিজে আরো বেশী সময় থাকতেই হবে।
০৪.০৩.১১-ঢাকা
বাবা, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। ভীষণ কষ্ট। ক্রিকেট খেলতে এলে যে এত কষ্ট পাবো, তা তো তুমি বলোনি! আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ হেরে গেছি, বাবা। খুব বাজে ভাবে হেরেছি। সারা দেশের মানুষ আমাদের ছিঃ ছিঃ করছে, ধিক দিচ্ছে। আমার খুব খুব কষ্ট হচ্ছে, বাবা।
ম্যাচ হারার চেয়েও বেশী কষ্ট হচ্ছে মানুষগুলোর জন্য। ওরা কত আশা করে ম্যাচ দেখতে এসেছিল। আমরা ওদের প্রচন্ড হতাশ করেছি। ওহ, কি যে কষ্ট! একদম সহ্য হচ্ছে না, বাবা!
২২.০৩.১২-ঢাকা
মাত্র দুটি রান! ইশ, আমার স্কোর যদি ৬০ না হয়ে ৬২ হতো! টুর্নামেন্টের আগে বাদ দিতে চেয়েছিল আমাকে। চাচ্চু অমন হার্ডলাইনে না গেলে হয়তো খেলাই হতো না আমার। চার ম্যাচে চার ফিফটি করে আমি চাচ্চুর মান রেখেছি। তারপরও কষ্ট হচ্ছে খুব।
বাবা, খুব কষ্ট হচ্ছে তোমার এই ছোট ছেলের! পুরো দেশ কাঁদছে। আমরা সবাই খুব কেঁদেছি। এখনও কাঁদছি। এই যে ডায়েরীর পাতা ভিজে যাচ্ছে চোখের পানিতে। আমি কি লিখছি কিছুই দেখছি না এখন। চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে। আজ থাক... আর পারছি না যে বাবা!
১২.১১.১৪-চট্টগ্রাম
এই প্রথম চট্টগ্রামে সেঞ্চুরী পেলাম। খুব আনন্দ হচ্ছে। দলও ভালো অবস্থায় আছে। এই বছরটা আমাদের জন্য বিভীষিকা ছিল। শেষের এই সময়ে কিছু ভালো সময় যাচ্ছে, এটা সবার জন্য ভালো।
বছর পাঁচেক আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই সেঞ্চুরীর খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেবার ৯৫-তে আউট হয়ে গিয়েছিলাম, তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে। যাক নিজের মাঠে অবশেষে সেঞ্চুরী তো পেলাম। ভাইয়াও পেয়েছিল, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই।
০৯.০৩.১৫-এডিলেইড
বাবা, আমরা বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবো! শুনতে কেমন অবিশ্বাস্য শোনাচ্ছে, না? রিয়াদ ভাই, আজ সেঞ্চুরী পেয়ে গেলেন। আমার খুব ইচ্ছে ছিল, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরীটা আমিই করবো। গত ম্যাচে ৯৫-তে গিয়ে আউট হয়ে গেলাম। আসলে কিছু ব্যাপার আমাদের হাতে থাকে না। ভাগ্য-ই রিয়াদ ভাইয়ের জন্য নির্ধারিত করে রেখেছিল এটা। রিয়াদ ভাই অসাধারণ খেলেছেন আজকে।
তিনি যদি প্রতি ম্যাচে সেঞ্চুরী পান আর বাংলাদেশ জেতে, আমি শূণ্য পেলেও কিছু যায় আসে না। তাই না, বাবা?
জানো, আজ আমরা সবাই মিলে কেঁদেছি। বিষাদের কোনো কান্না নয়, আনন্দের কান্না। আনন্দে যে এভাবে গলগল করে চোখ বেয়ে পানি পড়ে আগে জানা ছিল না, বাবা। আচ্ছা, তুমি কি জানতে?
০২.০৫.১৫-খুলনা
বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ইনিংসটা আমার সেই ২০০৯ থেকেই। আজ টেস্টের সর্বোচ্চ ইনিংসটাও খেলে ফেললাম। ২০৬! পাকিস্তানি বোলিংকে, ওই যে সাংবাদিকেরা লিখে না স্রেফ কচুকাঁটা করা, তাই করলাম বোধহয়। ডাবল সেঞ্চুরীর চেয়েও বেশী আনন্দ দিচ্ছে, দলের ভীষণ প্রয়োজনে কাজে এসেছি বলে। ২৯৬ রান পেছনে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিলাম। গতকালই ভালো অবস্থায় পৌঁছেছিলাম। তবে আমাদের ভেঙে পড়ার অভ্যাস তো বহু পুরনো। অপরাজিত ছিলাম বলে, আজ চেষ্টা ছিল যতটা সম্ভব দীর্ঘ সময় ক্রিজে থাকা। আমি পেরেছি।
ইদানীং খুব রান পাচ্ছি। টেস্টে, ওয়ানডেতে। সবখানেই। সবাই খুব প্রশংসা করছে। ভাতিজা কোটা, ম্যাগি নুডলস ব্যাপারগুলো শুনতে হচ্ছে না আর। ফ্যামিলিকেও কেউ আজে বাজে কিছু বলছে না। এই গোল্ডেন ফর্মটা যতটা সম্ভব টেনে নিতে চাই।
১৩.০৩.১৬-ধর্মশালা
একটা একটা করে স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে আমার। বাংলাদেশের পক্ষে টি-টুয়েন্টির প্রথম সেঞ্চুরীয়ানও হয়ে গেলাম আমি। বিশ্ব ক্রিকেটে খুব কম ব্যাটসম্যানই নাকি আছে, যারা ক্রিকেটের তিন ঘরানাতেই সেঞ্চুরী করেছেন। সেদিক থেকে আমি ভাগ্যবান।
এখন, মূল পর্বেও এই ফর্মটা ধরে রাখতে পারলে হয়।
১৯.০৩.১৭-কলম্বো
আজ তো আমরা ইতিহাস করে ফেলেছি। শততম টেস্টে শ্রীলংকার মাঠে হারিয়ে দিয়েছি শ্রীলংকাকেই। আমার আনন্দটা একটু বেশীই। কেনো? বাঃ রে, আমি ম্যাচসেরা হয়েছি যে! আউট হয়ে নিজের উপর খুব বিরক্ত লাগছিল। আরো প্রায় ৬০ রান লাগতো তখন। ভাগ্যিস, ভালোই ভালোই সামলে নিয়েছিল অন্যরা।
ম্যাচটা যদি শেষ করে আসতে পারতাম! সেঞ্চুরীও হতো, এত টেনশনও সহ্য করতে হতো না।
৩০.০৮.১৭-ঢাকা
তুমি কত গল্প করতে না, বাবা। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, এ্যাশেজ, টেস্ট ক্রিকেট... কত কি! জানো, আমরা সেই প্রতাপশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিয়েছি। গত বছর ইংল্যান্ডকেও হারিয়েছিলাম। আমরা আস্তে আস্তে ইতিহাস করতে শিখছি, বাবা। দেখবে, একদিন হয়তো আমাদের তৈরী করা ইতিহাস কোনো বাবা শোনাবে তাঁর ছেলেদের। ঠিক যেমন তুমি আমাদের শোনাতে জি গ্রেস, ব্র্যাডম্যানদের ইতিহাস।
১৮.০৩.১৮-কলম্বো
আরো একটি ফাইনাল হেরে গেছি আমরা। একদম শেষ বলে যে কার্তিক ওই কান্ড ঘটিয়ে দেবে কে ভেবেছিল? পাঁচটি ফাইনাল হেরেছি, পাঁচটিতেই ছিলাম আমি। এটা কি আমার সৌভাগ্য নাকি দূর্ভাগ্য? কে জানে!
সৌম্য খুব কেঁদেছে। রুবেলও নিজেকে ক্ষমা করতে পারছে না। এটাই আসলে ক্রিকেট। জীবনের আরেক পিঠ। একদিন যদি তুলে দেয় সফলতার সপ্ত শিখরে, তাহলে আরেকদিন ঠিক দেখিয়ে দেবে পতনের অতল গহ্বর! সাধে কি আর ক্রিকেটকে জীবনের সাথে তুলনা করা হয়!
২০.০৩.১৮
২৯ বছর পূর্ণ হয়ে গেল। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে সার্ভিস দিচ্ছি তাও বুঝি প্রায় ১১ বছর! সময় কীভাবে যে গড়িয়ে যায়! আর ক’বছর খেলতে পারবো, কে জানে! যতদিন খেলি, বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে যেতে চাই।
সব ধরণের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশী রান আমার, সেঞ্চুরী আমার। ব্যাপারটা আনন্দের নিঃসন্দেহে। তবে তৃপ্তির নয় মোটেই। আরো কত কি করার বাকী! একসময় কত অদ্ভুত স্বপ্ন দেখতাম। ৬ বলে ৩৬ দরকার, আমি ছয়টি ছয় মেরে হয়তো দলকে জিতিয়ে দিয়েছি। স্বপ্নের কোনো সীমা রেখা থাকে না, তাই সেই স্বপ্নটা এখনও দেখি। তবে এখন বাস্তবিক স্বপ্নও দেখি, পরিকল্পনা করি। ছয় হাজার রান ওডিয়াইতে, দশ হাজারী ক্লাবে যদি প্রবেশ করা যায়! সেঞ্চুরী সব ফরম্যাটেই সিঙ্গেল ডিজিটে ঘুরঘুর করছে। ব্যাপারটা দুঃখজনক! কতবার পঞ্চাশ পেরিয়েও তিন অংক ছোঁয়া হয়নি! সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠা দরকার।
একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে যত উঁচুতে উঠা সম্ভব, আমি তত উঁচুতে উঠতে চাই। আমার স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়ার, সম্ভব হলে আকাশের ওই নীল ছুঁতে চাই।
________________
পুনশ্চ: বুদ্ধিমান পাঠক এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছেন, তামিম বা তামিমের পরিবারের কেউই এর সাথে জড়িত নয়। ডায়েরী-টায়েরী তো কল্পনা বৈ আর কিছু নয়। এই সৃষ্টিছাড়া কাজের সাথে কেবল ও কেবলমাত্র লেখকের উদ্ভট কল্পনাপ্রসূত মস্তিষ্কই জড়িত।
আশা করি, পাঠক ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি রাখবেন!
- 0 মন্তব্য