'আশার ফুল' ফুটবেন?
পোস্টটি ২০১৬১ বার পঠিত হয়েছেছোট্ট একটা গল্প বলে শুরু করব। ধরা যাক, আপনার পরিবারের সদস্যসংখ্যা ৯ জন। এর মধ্যে আপনার বড় দুই ভাই বিবাহিত। তাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েও আছে। ছোটবেলা থেকে আপনিই কোলেপিঠে মানুষ করেছেন এমন এক ছোট ভাইও আছে আপনার। ৯ সদস্যের সুখী পরিবারে দিনাতিপাত ভালই হচ্ছিল আপনাদের। হঠাৎ একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে আপনার বড় ভাইয়ের মেয়েটি হারিয়ে গেল। বিস্তর খোঁজাখুঁজি চলল, আপনারা প্রচুর কাঁদলেন কিন্তু পাওয়া গেল না। বাড়ির সবাই যখন শোকটা আস্তে আস্তে ভুলতে শুরু করেছে তখন আপনার মায়ের পুরোনো নেকলেসটা আবার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এবারও বিস্তর খোঁজাখুঁজি চলল এবং এবারও পাওয়া গেল না। এরপর থেকে বাসায় একের পর এক গোলমাল চলতেই লাগল। কিন্তু প্রতিবারের মতই দোষীকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এরপর একদিন আপনার বড় ভাই নিজেই খুন হলেন। পুলিশি তদন্ত চলল এবং বজ্রনিনাদের মত ঘোষণা এল, খুন আপনার ছোট ভাইটিই করেছে। ছোট ভাইটিকে রিমান্ডে নেওয়া হল এবং আরেকটু চাপাচাপিতে সে স্বীকারই করে নিল যে শুধু খুনই নয়, আগের সমস্ত অপরাধও সেই-ই ঘটিয়েছে। বাচ্চা মেয়েটিকে বিদেশী এক চক্রের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে, নেকলেস বিক্রি করে ইয়াবার ব্যাবসা করেছে।
এরপর আপনার ছোট ভাই ৫ (!) বছরের জন্যে জেলে গেলেন এবং পাঁচ বছর পর ছাড়াও পেলেন। এখন আপনি বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, এই ছোট ভাইটিকে কি আপনি আগের মতই মেনে নিতে পারবেন? একটুও অবিশ্বাস কাজ করবে না? কোন এক নির্জন বেলায় অজানা আশঙ্কায় পেয়ে বসবে না? কিংবা বাচ্চা মেয়েটি যদি আপনারই মেয়ে হত? আপনি কি আপনার ছোট ভাইকে বুকে জড়িয়ে ধরতেন? আপনি কি তাই-ই বিশ্বাস করেন?
আশরাফুলও আসলে তাই। সেই ছোট ভাইটি। তিনি যে শুধু বিপিএল-এই ফিক্সিং কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছেন তাই-ই নয়, স্পট ফিক্সিং করেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও। ২০১২ তে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য টি-২০ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সাথে ম্যাচে ইচ্ছা করেই ধীরে খেলাসহ আরো আরো কত ম্যাচ যে তিনি বাজিকরদের চাওয়ামত খেলেছেন তা একটু গুগল ঘাটলেই বের হয়ে যাবার কথা। আশরাফুল আকসুর কাছে নিজেই এসব স্বীকার করেছেন। সেসব নিয়ে সেসময় বিস্তর লেখালেখিও হয়েছে। একবার ভাবুন তো, কত কত ম্যাচে আপনি শুধু একটা আশরাফুল-ঝলক দেখার জন্যে বসে গেছিলেন কিন্তু ম্যাচের প্রথমেই আশরাফুল আউট হয়ে যেতেই মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছেন? এখন সেই আউটগুলো যদি বাজিকরদের চাওয়াতেই হয়? স্বেচ্ছাতেই হয়? তাহলে আপনার কেমন লাগবে? হয়েছে কিন্তু আসলে তাই-ই।
কয়েক বছর পিছিয়ে আইসিএল এ ফেরা যাক। এই যে আইসিল এ খেলতে গিয়ে বাশাররা বিপাকে পড়ে গেলেন, এই আইসিএল কাণ্ডের নাটের গুরু কে জানেন? এখানেও জনাব আশরাফুল। তিনিই সবার আগে প্রস্তাব পান এবং দলটা সাজানোর দায়িত্ব আশরাফুলকেই দেওয়া হয় । আশরাফুল তাই দল গোছাতে থাকেন আড়ালে। অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে বাংলাদেশ দল একের পর এক ম্যাচ হারছে, কিন্তু সেদিকে কারও ভ্রুক্ষেপ নেই। মাঠের বাইরে, মাঠের ভেতরে, ঘুরতে গিয়ে এমনকি অনেক সময় ড্রেসিং রুমেও পর্যন্ত আশরাফুল মিটিং করেছেন সবাইকে আইসিএলে যেতে রাজী করাতে! বাংলাদেশ দল তখন ততটাও বিখ্যাত নয়, ধুম ধাড়াক্কার টি-২০ তে তো নয়ই! প্রস্তাব তাই এসেছিল হালের আশরাফুলের কাছে এবং ড্রেসিং রুমে আইসিএল এর বিষবাষ্প সবার কানে তিনিই জপে দিয়েছিলেন। এমনকি আশরাফুলকে ক্যাপ্টেন ধরেই দল সাজানোর প্রস্তাব দিয়েছিল আইসিএল কতৃপক্ষ। হাবিবুল বাশার দৃশ্যপটেই ছিলেন না। সবাই জানত, হাবিবুল টি-টোয়েন্টির ব্যাটসম্যান নন।
আশরাফুল আবার দল সাজাতে সাজাতে ফন্দি আঁটছিলেন অন্য একটি। শাহরিয়ার নাফিসদের সরিয়ে বাংলাদেশ দলে নিজের ক্যাপ্টেন্সি দীর্ঘসময় ধরে রাখার পথ পরিস্কার করতে তিনি শেষ মুহুর্তে তাই খেলে দিলেন এক মাস্ট্রারস্ট্রোক। দল সাজিয়ে শেষ মূহুর্তে চম্পট দিলেন আশরাফুল। আয়োজকরা পড়ল বিপদে। একজন অধিনায়ক তো দরকার। তখনই নেওয়া হলো হাবিবুলকে। আশরাফুল হয়ে গেলেন নায়ক!
আমাদের লিটল মাস্টার এরকমই বহুরূপী! তো এখন, আশরাফুলের চারিত্রিক দুর্বলতা সম্পর্কে একটু হলেও কি আন্দাজ করা যাচ্ছে? এরকম একজনকে লাল সবুজের জার্সিতে দেখতে আপনার কি ভাল লাগবে? দশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিজেকে বিকিয়ে দেওয়া একজনকে কি আসলেই ফেরানো উচিত?আপনাকে দশ লক্ষ টাকা দিলে আপনি কি আপনার মেয়ের খুনীকে বুকে জড়িয়ে ধরতেন? আয়নায় নিজেকে প্রশ্ন করুন, মগজে পোকা না খেয়ে গেলে যৌক্তিক কোন একটি উত্তর আপনি পাবেনই!
আশরাফুলকে যারা দলে চাইছেন আর যারা চাইছেন না দুই পক্ষের মধ্যেই এক ধরণের আবেগ কাজ করছে। ক্রিকেট-অন্ত:প্রাণ জাতির একজন হয়ে ক্রিকেটে আবেগ খাটিয়ে ফেলাটা অবশ্যই দোষের কিছু নয়, না খাটানোটাই বরং চরম অন্যায়। তাই উপরের অনেকগুলো কথাতে আমি নিজেও কিছুটা আবেগ মিশিয়ে ফেলেছি। কিন্তু, ক্রিকেটের ব্যাট আবেগ মেনে কথা বলে না, তাতে আপনি আশরাফুলকে চাইলেও বা কি আর না চাইলেও বা কি? এখন প্রশ্ন হল আশরাফুল নিজে কতটা যোগ্য? ফেরার দাবি তিনি কতটা জোরে তুলতে পারেন? পাইপলাইনে কতটা প্লেয়ার-সংকট রয়েছে?
আশরাফুলকে যদি খেলাতে হয় তবে কোথায় খেলানো হবে? তিনে সাকিব পাকা আসন গেড়ে বসে গেছেন। ভক্তকূলের দাবি আশরাফুলকে খেলানো হোক ওপেনিং স্পটে, তামিমের সঙ্গী হিসেবে!
আশরাফুল তার ক্যারিয়ারে ওয়ানডে খেলেছেন ১৭৭ টি। এর মধ্যে ১৬৯ ইনিংসে ক্রিজে নেমে তিনি নট আউট থাকতে পেরেছেন সাকল্যে তেরোবার। এভারেজ ২২.২৩। স্ট্রাইক রেট ৭০.১০! এখন আপনিই বলুন, এখন ক্রিকেট খেলছে এমন কোন টপ অর্ডারের প্লেয়ারের এভারেজ ২৫ এর নিচে? ৭০ স্ট্রাইক রেটের কেউ আসলেই এখনকার ক্রিকেটের সাথে মানানসই? তিনি কি তামিমের সঙ্গ ডিজার্ভ করেন? যেখানে বোর্ডের চাওয়া দ্রুত রান তুলতে পারা কেউ।
আশরাফুলকে যদি দলে আসতে হয় তবে অনেকগুলো মাথা টপকেই আসতে হবে। তাদেরই একজন লিটন কুমার দাস। পর্যাপ্ত ওয়ানডে না খেলা আর দলে আসা যাওয়ার মধ্যে লিটন দাসের স্ট্রাইক রেটও ৭৬.৭৪! লিস্ট এ ক্রিকেট বিবেচনায় নিলে সেখানে লিটন দাসের গড় ৪০.৫৮, স্ট্রাইক রেট ৯১.৯৩! যেখানে আড়াইশো (২৫২) লিস্ট এ ক্রিকেট ম্যাচ খেলে ফেলা মোহাম্মদ আশরাফুলের গড় ৩০ ও ছাড়ায়নি, ২৫.৫৭!
এরপর নাম আসবে সৌম্য সরকারের। প্রায় তিন বছর ধরে অফ ফর্মে থাকা সৌম্য সরকারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ওয়ানডে ফরম্যাটে গড় ৩৪.৫৩, স্ট্রাইক রেটে আশরাফুল সৌম্যর ধারেকাছেও নেই... ৯৬.৬০! লিস্ট এ ক্রিকেটে সৌম্য সরকারের গড় ৩১.০৬, স্ট্রাইক রেট ৮৫.১১! এখন এদের ডিঙিয়ে মোহাম্মদ আশরাফুলকে দলে ভেড়নোর দাবিটা কি তবে ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়ানোর দাবির মত হয়ে গেল না?
মোহাম্মদ আশরাফুলকে দলে ভেড়ানোর 'আস্তে' দাবিটা 'জোরে' হয়েছে খুব সম্ভবত গত ডিপিএল এর পর থেকে। এই ডিপিএল এ আশরাফুল ১৩ ম্যাচ খেলে রান করেছেন ৬৬৫, যার মধ্যে আছে পাঁচ-পাঁচটি সেঞ্চুরি। তা এই পাঁচ ম্যাচ বাদ দিলে বাকি আট ম্যাচে আশরাফুলের রান? সেটা দেড়শোও পার হয়নি। এই আট ম্যাচের মধ্যেই কিন্তু আবাহনী, লিজেন্ড অফ রূপগঞ্জের মত হেভিওয়েটদের সাথের ম্যাচগুলো আছে! এবার এখানে একটি পুনশ্চ যোগ করা প্রয়োজন, এই ডিপিএল এ সর্বাধিক ডাক মারার রেকর্ডেও কিন্তু আশরাফুল আছেন তালিকার পাঁচ নম্বরে!
ভক্তকূলের দাবি, আশরাফুল 'আগেকার দলে কেউ নেই' ভিত্তিতে এমন কম স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছিলেন? তা এই ইতিহাস বানানো পাঁচ সেঞ্চুরির ডিপিএল এ আশরাফুলের স্ট্রাইক রেট কিন্তু বড়সড় লাফ দেয়নি, রয়েছে ৭৪.১৩ এ। যেখানে 'ডট খেলা', 'ধীরে খেলা' বিজয় অব্দি ব্যাট করেছেন ৮৯.৫৩ স্ট্রাইক রেটে!
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, যে ডিপিএল এ আশরাফুলের পারফর্ম্যান্স দেখে তাকে দলে নিতে এত প্রাণান্তকর দাবি সেই ডিপিএল এর টপ স্কোরার নাজমুল হোসেন শান্ত এখনও দলেই সুযোগ পাননি। ষোল ম্যাচে ৭৪৯ রান করা শান্তর স্ট্রাইক রেটও চাহিদা উপযোগী, চোখ কপালে তুলে ফেলার মত... ৯৭.৫২! যেখানে শান্তই এখনও সুযোগ পেলেন না, সেখানে আশরাফুলকে নেওয়ার দাবিটা বড্ড বেমানান, অযৌক্তিক হয়ে গেল না?
এখানে ছোট্ট করে জানিয়ে রাখি, বহুদিন ধরে ব্রাত্য হয়ে পড়া মুমিনুলও শেষ আয়ারল্যান্ড সফরে ব্যাট করেছেন ১০০ স্ট্রাইক রেটে! লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে মুমিনুলের গড় ৩০.৭৪, স্ট্রাইক রেট ৮১.৭১! তবুও মুমিনুল দলে ঢোকেননি কারণ টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়া দ্রুত রান তুলতে পারা কেউ। তবুও মুমিনুলও কিন্তু আশরাফুল থেকে বেশ এগিয়ে আছেন। তো মুমিনুলই যেখানে বহুদিন ধরে ব্রাত্য সেখানে আশরাফুল নিয়ে আর কোন প্রশ্নই কি তোলা উচিত?
আশরাফুল খেলতে চাইছেন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে। তা ইংল্যান্ডের মাটিতে আশরাফুলের গড় কিন্তু ১০ ও পেরোয়নি, রয়েছে নয়ে! নয় এভারেজের কারোর স্ট্রাইক রেট উন্মোচন করে ভক্তকূলকে আর লজ্জা দিলাম না! এখন যে দেশে বিশ্বকাপ সেই দেশের মাটিতে নয় এভারেজের কাউকে সেই দেশেই বিশ্বকাপের মত আসরে পাঠিয়ে দেওয়া কি ঠাকুরমার ঝুলির চেয়েও অতি কল্পনাশ্রয়ী হয়ে গেল না?
এছাড়া আশরাফুলের ফিটনেসও কিন্তু খারাপ পর্যায়ে। বিজয়, সৌম্য, লিটন, মুমিনুল, কায়েস, শান্তদের থেকে ঢের পিছিয়ে। এখানে আমার একটি ব্যাক্তিগত প্রশ্ন আছে। প্রায় ৫ বছর ধরে দলের বাইরে থাকা আশরাফুল কি অন্তত এটা জানতেন না যে তিনি আবার জাতীয় দলে খেলতে চান? যদি জেনেই থাকেন তবে এত লম্বা সময় পরও কেন তার ফিটনেসে সমস্যা থাকবে? এত লম্বা সময় পেয়েও কেন তিনি ফিটনেস নিয়ে কোন কাজ করেননি? অন্তত ফিটনেস তো তার হাতে ছিল। দলে ফিরেই কেন তাকে ফিটনেস নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে? তবে কি তিনি ভেবেছিলেন বাংলাদেশ দল তাকে যেকোন অবস্থায় নিয়ে নেবে? এখনকার বাংলাদেশ দলকে কি তিনি এতটাই ছোট ভেবেছিলেন?
এবার আরেকটি ব্যাপার সামনে চলে আসে। আশরাফুল যদি সত্যিই ফেরেন তবে মিরাজ-শান্তদের জন্যে কেমন দৃষ্টান্ত হবে? সেই দৃষ্টান্ত দেশের ক্রিকেটে কতটা মঙ্গল বয়ে আনবে? আশরাফুল ফিরলে মিরাজ-আফিফ রা ভাবতেই পারেন, মাঝে মাঝে দুই একটা ক্লাসিক খেলে দিয়ে বেশিরভাগ সময় বাজিকরদের চাওয়ামত খেলে প্রচুর টাকা আয় করা যাবে। এরপর দোষ যদি ধরা পড়েও তবে আবেগী জাতির সামনে প্রচুর কান্নাকাটি করে প্রচুর সহানুভূতিও হাতিয়ে ফেলা যাবে, আর এরপর বাজিকরদের টাকায় কয়েকটা বছর আয়েশ করার পর দলে ফেরার সময় এলে এই আবেগী জাতিই জাতীয় দলে ফেরার রাস্তায় ঝাড়ু দিয়ে দেবে! এখন আপনারাই বলুন, তরুণ ক্রিকেটারদের জন্যে এই দৃষ্টান্ত আসলে কতটা ভাল হবে, কতটা মঙ্গলজনক হবে? আশরাফুল কতটা যোগ্য, কতটা পোক্ত এ প্রশ্ন করাটাই কি তখন একটি বড়সড় প্রশ্নের সম্মুখীন হয় না?
পাঁচ সিনিয়রের পাঁচজনই যে আশরাফুলকে দলে চাইছেন না, এটা কি তবে অমূলক মনে হচ্ছে? আপনি 'ছাই-প্রেমী' হলে অন্য কথা হতে পারে, কিন্তু ব্যাক্তি ছাপিয়ে দেশের ক্রিকেট যাদের কাছে আগে তাদের কাছে কিন্তু এটি যৌক্তিক, ভিত্তিক এবং সময়োপযোগী। তাই 'আশার ফুল' ফুটবে কিনা সে প্রশ্নের চেয়েও বড় প্রশ্ন হল 'আশার ফুল কি আসলেই আর ফোটা উচিত?'
- 0 মন্তব্য