• ক্রিকেট

যে স্বপ্ন ডানা মেলেছে

পোস্টটি ৫৬৫১ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

ক্রিকেট কারো কাছে খেলা, কারো কাছে নিছক বিনোদন, কারো কাছে প্রাণ! যার কাছে যেটাই হোক, উপমহাদেশে ক্রিকেট এক সঞ্জীবনী সুধা, প্রণয়লীলার শেষদৃশ্যের কেতন কিংবা অর্ধচন্দ্রের পূর্ণিমা বিলাস!

উপমহাদেশের গন্ডি ছোট করে এনে বাংলাদেশে এসে ঠেকালে ক্রিকেটকে বলে দেওয়া যাবে ঐকতানের সুর! নোংরা রাজনীতি, প্রতিনিয়ত খুন, ধর্ষণ, নারী-নিরাপত্তাহীনতার এই দেশে সবাই এক হয়ে যায় একটিমাত্র কেন্দ্রবিন্দুতে- ক্রিকেটে! শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি তখন প্রণয়ীনির কোল, হাঁটু ভাঁজ করে সাকিবের ক্রস ব্যাট চালানোর পরে পয়েন্ট আর কাভারের উপর দিয়ে উড়ে চলা বল তখন 'আদর'!

কিন্তু ক্রিকেটের এই পথচলা সহজ ছিল না মোটেও! শুধুই কি ক্রিকেট, বাংলাদেশের পথচলাও কি সহজ ছিল? স্বাধীনতার পর অস্থিতিশীল এই দেশে যখন দেশরক্ষাই প্রধান নিয়ামককৃত্য হয়ে উঠছে, সেই সময় ব্যাট বলের একটি খেলায় নজর দেবার সুযোগ কিংবা ফুরসত যেকোনটিই মেলানো ভার! তবুও ক্লাব ক্রিকেটের হাত ধরে সেই সময়েও ক্রিকেট এগিয়েছে বেশ, ক্লাব কর্তারা ক্রিকেটকে এগিয়ে নেবার অন্তত চেষ্টাটুকু করেছে, আজকের বাংলাদেশ ক্রিকেটের চারা রোপণ করা হয়েছে!

এরপর গুটি গুটি পায়ে ক্রিকেট এগোনো শুরু করেছে, ১৯৯৩ সালের দিকে আতহার আলী খান ইডেন গার্ডেনে ম্যাচ সেরা হয়েছেন।সেই খবর কোন একদিন আরাম কেদারায় শুয়ে রেডিওতে শুনতে শুনতে কোন এক বৃদ্ধ হয়ত আজকের দিনের স্বপ্নটি বুনে ফেলেছিলেন। কিংবা কে জানে, ঐদিনই কোন এক প্রাইমারি স্কুলের মাঠে কাদামাটি মেখে তক্তা দিয়ে বানানো ব্যাট হাতে ক্রিকেট খেলা ছেলেটিও আজকের দিনের স্বপ্ন বুনতে পারে। আজকের দিনের স্বপ্ন বুনতে পারেন সেদিনই ছেলেটি বাসায় ফিরলে রান্নাঘর থেকে আঁচল কোমরে গুজে 'কি ছাইপাশ খেলিস?' বলে বের হওয়া মা'টিও!

ওদের সেই স্বপ্ন আজ ডালপালা মেলেছে, দিগন্ত প্রসারিত করে দিগ্বিদিক উড়ে চলেছে, সাথে ভার বয়েছে সাত কোটির, নয় কোটির, চৌদ্দ কোটির, ষোল কোটির!

ক্রিকেটে চাই আত্মত্যাগ, সেই আত্মত্যাগও পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। টেস্ট আঙ্গিনায় যখন আমাদের পা ও পড়েনি তখন একজন ফারুক আহমেদ মাথা ফেটে রক্ত বের হবার পরও ব্যাট হাতে নেমে প্রমাণ করেছেন 'আমরা থামতে আসিনি'।

কে বলতে পারে, ফারুক আহমেদের সেইদিনের প্রত্যয় ছিল আজকের দিনের প্রেরণা, যে প্রেরণা প্রত্যয় হয়ে রূপ নিতে শুরু করেছে অভিষেকে! সময় এগিয়েছে, ক্রিকেট এগিয়েছে, ফুটবল থেকে বঙ্গদেশের মানুষ দেখতে শুরু করেছে ক্রিকেট! একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে ব্যাপারটিতে খানিকটা মজা পাওয়া যায়। চাল নেই, চুলো নেই নিধিরাম সর্দার! সেই নিধিরাম সর্দার দিয়েই কিনা এতগুলো মানুষকে টেনে ফেলা যায়? নিউজিল্যান্ডে যেখানে এখনও প্রচেষ্টা চলছে বেসবলের পাশাপাশি জনমনে ক্রিকেটটাকে 'টিকিয়ে রাখতে', সেখানে কোন ধরণের বহুজাতিক শিরোপা না জেতা বাংলাদেশ কিনা চাতক পাখির মত আশায় চেয়ে আছে এই ভেবে যে 'একদিন আমরাও'....! হবে নাই বা কেন? নব্বই দশকের সেই বৃদ্ধ হয়ত পৃথিবী ছেড়েছেন, কিন্তু তাঁর বোনা স্বপ্নের বীজ কি একটু একটু করে অঙ্কুরিত হবে না?

এমনি করেই একদিন জিতে গেলাম আইসিসি ট্রফি! বঙ্গদেশের অবস্থা এত উন্নত নয়, আবার সহযোগী দেশগুলো নিয়ে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্ট টিভিতেও দেখানো হচ্ছিল না। উপায়? রেডিওর ধারাভাষ্য! একবার কল্পনা করে ফেলুন তো, উঠোনের মাঝে রেডিও রেখে তাঁর চারপাশে কয়েকজন লোক কান পেতে রেডিওর ধারাভাষ্য শুনছে! 'বল মাটি কামড়ে সীমানায়.....' শোনার সাথে সাথেই হয়ত উল্লোসিত ধ্বনিতে ফেটে পড়ছে, আজকের মিরপুরের ইস্ট গ্যালারির সূচনা এখান থেকেই হয়নি তা কে বলতে পারে?

আইসিসি ট্রফি পেরিয়ে বিশ্বকাপে পা রেখেছি। তখনকার ক্রিকেটে মাইটি পাওয়ার পাকিস্তানকে কিছু বুঝে ওঠার আগে হারিয়েও দিয়েছি! সারা বিশ্বকে যেন জানান দিয়েছি, তক্তা দিয়ে বানানো ব্যাটের ধারে স্বপ্নও হয়েছিল ধারাল, কয়েক শতক পরও তা মহানির্বাণ লাভের সূচনা অব্দি করবে না!

ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেওয়া হল, ঘর ছাপিয়ে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের দুনিয়ায় পা দিতে পরীক্ষামূলক সফর হিসেবে আমরা খেলতে গেলাম সাগরিকার ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্টে! আভিজাত্যের ফর্ম্যাটে অভিজাত ছাপ রাখতে না পারলেও 'কোন রকমে সংসার চালানো কুলীন' সম্প্রদায়ের ইঙ্গিত সেবার নিউজিল্যান্ডে দিয়ে ফেললাম! আইসিসির প্রতিনিধির একেরপর এক বাংলাদেশ সফর হল, খেলাটির প্রতি এদেশের মানুষের আবেগ তাঁদের মন কাড়ল.... অভিজাত শ্রেণিতে পা ফেললাম আমরা! এতে একজনের অবদান স্বীকার করতে হবে জোরেশোরেই- জগমোহন ডালমিয়া! কুলীন সেই শ্রেণিকে অভিজাত এলাকায় বাসের ব্যাবস্থা তো উনিই করে দিয়েছিলেন একরকম!

দুই হাজার সাল! আমরা তখন টেস্ট খেলুড়ে দল! নাইমুর রহমান দুর্জয় যখন হাতে খেলোয়াড় তালিকা নিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলির সাথে টস করতে নামছে 'ছাইপাশ' বলা 'মা' তখন বৃদ্ধা হয়ে গেছেন, চোখে ঠিকমত দেখতে পান না! তবু তিনি আজ টিভি খুলে বসেছেন, চশমার ফ্রেমটা নাড়িয়ে চাড়িয়ে তাঁর ছেলেকে খুঁজে নেবার ব্যার্থ চেষ্টা করছেন!

আরামকেদারায় শুয়ে স্বপ্ন বোনা সেই বৃদ্ধ তখন এ পারের মায়া কাটিয়ে চলে গেছেন জীবন-নদীর ওপারে! তবুও ওপরে বসেই আজ তিনি তাকিয়ে রয়েছেন কয়েনটির দিকে, সেই আরামকেদারায় বসেই!

অভিষেক টেস্ট! প্রথম ইনিংসেই ৪০০! কি দলরে বাবা! সারা বিশ্ব যখন প্রমাদ গুণছে তখন টেস্ট ক্রিকেটকে বুঝতে আমরা বেশি সময় নিলাম না। দ্বিতীয় ইনিংসেই যেন বুঝিয়ে দিলাম- টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতির শর্টকাট পন্থা হয় না! তবুও সেই স্বপ্নের বীজ যে একদিন বটগাছ হতে পারে সেরকম একটি ঘোষণা অব্যাক্ত ভাবে দেওয়া হয়ে গেল!

এরপর ২০০৩ থেকে শুরু করে সামনের কয়েক বছর কালো অধ্যায় দেখেছে দেশের ক্রিকেট! একেকটি ম্যাচ খেলতে যাই, আর নির্ঘাত হার নিয়ে প্যাভিলিওনে ফিরি! ঠিক এমনই একটি সময়ে আগমণ ঘটে একজন রূপকথার নায়কের, তাকে আমি বলব নার্সিসাস!

গ্রিক পূরাণের নার্সিসাসকে মনে আছে? অপরূপ রূপের অধিকারী পুরুষ ছিল সে। এতটাই অপরূপ যে ঝর্ণার জলে অপলক তাকিয়ে থাকত! নিজ গুণের ব্যাবহার না জানলে যা হয় আরকি, আমৃত্যু ঝর্ণার জলে তাকিয়ে থাকতে থাকতে একদিন মরেই গেল সে!

ঠিক সেরকমই একজন নার্সিসাস পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট, যার রূপে মুগ্ধ হয়ে থাকত সে সময়ের ক্রিকেট রোমান্টিকেরা। কিন্তু গ্রিক পূরাণের নার্সিসাসের মত বাংলাদেশ ক্রিকেটের নার্সিসাসও জানতেন না কিভাবে নিজেকে ব্যাবহার করতে হয়! ফলাফল আরো কিছু দেওয়ার বাকি থাকতেই সব বকেয়া রেখে তিনি স্বেচ্ছাপ্রয়াণ নিলেন.... আমরা হারালাম একজন মোহাম্মদ আশরাফুলকে!

পরপারে বসে ক্রিকেট রোমান্স একা একা উপভোগ করাটা বোধহয় ভাল ঠেকছিল না সেই বুড়োটার! রেডিও মাঝে রেখে সবাই মিলে উল্লাস করা কারো একা একা জয়োৎযাপন ভাল লাগবে কেন বলুন? তাঁর কাছে তাই তিনি ডেকে নিলেন রানাকে! বাইক থেকে উঠিয়ে ছোঁ মেরে সোজা তুলে নিলেন! এরপর থেকে রানা এই বৃদ্ধর সাথেই থাকেন! আধুনিক ক্রিকেটে বদলে যাওয়া এটা সেটা বৃদ্ধকে বুঝিয়ে দেন!

এরপর এত বছর পর স্রষ্টা একদিন মুখ তুলে চাইলেন। হঠাৎ করেই যেন আমরা পেয়ে গেলাম নেমেই তেড়েফুঁড়ে মারতে যাওয়া একজন তামিম ইকবাল, ইস্পাত কঠিন মানসিকতার একজন সাকিব আল হাসান, নিজেকে উজাড় করে দেওয়া একজন মুশফিকুর রহিম, আর স্থিতধী একজন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ!

এত কিছুর পরও কিছু একটা কম থেকে যায়! স্রষ্টা তার ব্যাবস্থা করেননি, করে রেখেছেন! সাল তখন ২০০০ এর আগে! বাংলাদেশের একটি বয়সভিত্তিক দল ভারত সফরে গেল! সেই সফর শেষে ছেলেটিকে ওদের এতটাই পছন্দ হয়েছিল যে মজার ছলে প্রস্তাব দিয়ে বসল, এই ছেলেটিকে রেখে যাও, বিনিময়ে আমাদের দুজন ব্যাটসম্যান নিয়ে যাও!

লক্ষীর ঘট নাকি তিনি নিজেই রক্ষা করেন। তেমনিভাবে বারবার ফিরে এসেছেন একজন মাশরাফি, একজন আচার্য মাশরাফি! মাশরাফি এই দেশের ক্রিকেটের জন্যে কি সেটা লিখে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। মাশরাফি এই দেশের ক্রিকেটে একজন স্রষ্টাপ্রদত্ত উপহার, একজন জাদুকর যার পরশপাথরের ছোয়ায় ধুঁকতে থাকা বাঘশাবক শিকারে বেরোনোর সাহস পেয়েছে!

তেজী মাশরাফি আর চার ভিন্ন চরিত্রের চারজন সৈনিক মিলে একটি ইতিহাস লিখতে শুরু করলেন, বদলে যাওয়ার ইতিহাস, বদলে ফেলার ইতিহাস, ভয় ডরহীন এক ইতিহাস!

তখনই ক্রিকেট বিশ্বকে ক্রিকেট মানচিত্রে বাংলাদেশ চেনানো শুরু করলেন একজন সাকিব আল হাসান ও একজন আব্দুর রাজ্জাক। প্রথম জন অলরাউন্ডার হিসেবে সেরা হয়ে, দ্বিতীয়জন স্পিন বোলিং এর ভেলকি দেখিয়ে! এরই মাঝে এসেছেন হাবিবুল বাশার, মোহাম্মদ রফিকেরা! প্রতিটা ম্যাচ হারার পর পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে যখন বাশার বলতেন আমরা শিখছি, তখন উপরে বসে সেই বৃদ্ধ কি একটু বিরক্ত হয়ে রানাকে জিজ্ঞেস করত 'আর কবে শিখবে এরা?'। খেলার মাঠে লাস্যময়ী রানা কি তখন বৃদ্ধাকে আশ্বস্ত করত? আমার জানা নেই!

এমনি করে দিন যায় মাস যায়, বৃদ্ধর বুনে রেখে যাওয়া চারাগাছ বড় হতে শুরু করে। ক্রিকেটের সেই তেজ আরাম কেদারা থেকে ছড়িয়ে পড়ে একজন শোয়েব আলীর বুকে, একজন বিশ্বজিতের হৃদয়ে!

সেই 'মা' কয়েক বছর হল পরপারে পাড়ি দিয়েছেন কিন্তু এরই মাঝে তিনি দেখে গেছেন মিরপুরে ভঙ্গুর এক টাইগার টিমকে একদল সমর্থক সবসময় সমর্থন দিয়ে যায়, নিখাদ বাংলায় ব্যানার নিয়ে আসে 'দৌড়া বাঘ আইল'! সেই 'মা' আর সেই বৃদ্ধ কিন্তু ওপারে বসে এসব গল্প করেন, সেই 'মা' এসব গল্প বৃদ্ধার কাছে বিলিয়ে দেন, যা যা তিনি দেখে এসেছেন পৃথিবীতে! পৃথিবীতে বিচ্ছিন্ন ভাবে থাকলেও দুজনই যে এক সুতোয় মিলে ছিলেন- ক্রিকেট! যে সুতোর বাঁধন এখন ছড়িয়ে গেছে ষোল কোটির প্রত্যেকের অলিন্দ-নিলয়ে!

এরপর এল সেই দিন! যেদিন বৃদ্ধর রেখে যাওয়া গাছে নতুন ফুল আসল, যে ফুলের সৌরভ ছড়ানোর দায়িত্ব নিলেন একজন রুবেল হোসেন! স্কোয়ার ডেলিভারিতে ইংল্যান্ডের শেষ স্ট্যাম্প যখন তিনি উপড়ে ফেললেন, তখন আর বৃদ্ধ খুব বেশি হাঁটতে পারেন না। স্বর্গেও তার অবলম্বন সেই আরাম কেদারা! কিন্তু এডিলেডের এত লোকের চোখ ফাঁকি দিয়ে সেদিন একজন স্বর্গ থেকে নেমে এসেছিলেন, আঙুল তুলে রুবেলের মাঝেই তিনি লুকিয়ে ছিলেন... এই দিনে রানা পৃথিবীতে না এসে পারেন!

এরপর সেই গাছ আরো বড় হতে লাগল! বড় হতে হতে নিজের দ্বিতীয় কুঁড়ি বার করল সেদিন, যেদিন সাকিব আর রিয়াদ মিলে কার্ডিফে লিখে ফেললেন এক মহাকাব্যিক ইতিহাস! সেদিনও একজন আসতে ভুল করেননি, সেদিন তিনি ছিলেন মাশরাফির পাশেই, কার্ডিফের বেলকনিতে! মাশরাফির পাশে দাঁড়ানো রানা আর গ্যালারিতে হ্যাট মাথায় দিয়ে নিজেকে লুকিয়ে রাখা বৃদ্ধকে সেদিন কেউ চিনতে পারেনি....!

এরপরের কাব্যটা লেখা বাকি আছে! বৃদ্ধের সেই গাছ বড় হয়েছে, সেই গাছের এখন পরিচিতি চাই! আর তাঁর জন্যে চাই শিরোপা! সেই পরিচিতি আনতে একজন যোদ্ধা যখন তাঁর সেনাদের নিয়ে সামনের বিশ্বকাপ ফ্লাইট ধরবেন, তিনি কি টের পাবেন সেই বৃদ্ধর সাথে চাতক পাখির মত চেয়ে আছে বত্রিশ কোটি চোখও.... আর একজন মাঞ্জারুল ইসলাম রানা!