• ফুটবল

ফুটবলে সেরা; কথাতেও!

পোস্টটি ৩৪৪০ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

উত্তর আয়ারল্যান্ডের কর্দমাক্ত মাঠে এক কিশোর ফুটবলারকে ফুল ফোটাতে দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন বব বিশপ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই স্কাউট (খুদে প্রতিভা খুঁজে বার করেন যারা) সেই কিশোরটির খেলা দেখে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন, সঙ্গে সঙ্গে ক্লাবের সদর দপ্তরে টেলিগ্রাম পাঠান, ‘আই থিংক আই হ্যাভ ফাউন্ড আ জিনিয়াস।’

সেই ‘জিনিয়াস’টি এরপর সত্যি সত্যিই ফুল ফুটিয়েছেন ক্লাব ফুটবলে। সেই কিশোরটিকে বলা হয় কখনোই বিশ্বকাপ না খেলা সর্বকালের সেরা ফুটবলার। শুধু বিশ্বকাপ নয়, ফুটবলীয় শক্তির বিচারে খর্বশক্তির দল উত্তর আয়ারল্যান্ডে জন্মেছিলেন বলে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন শিপেও খেলা হয়নি কখনো!

উত্তর আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে ২৫ শে মে ১৯৪৬ সনে জর্জ বেস্ট নামক এই ফুটবল কিংবদন্তীর জন্ম। ছেলেবেলা থেকেই ছিলেন দুর্দ্দান্ত ও বেপরোয়া । ফুটবলের প্রতি ছিল তার প্রচণ্ড আকর্ষণ। তারই পরিক্রমায় মাত্র নয় বছর বয়সের স্থানীয় জুনিয়র ফুটবল লীগে আবির্ভাব ঘটে তার। ছিলেন উইং ফরওয়ার্ড। মাত্র দশ বছর বয়স থেকেই কোন ডিফেন্ডারকে বোকা বানাতে পারতেন। তাঁর ভেল্কিকে দর্শকরা বলতো ‘‘মাংকি ট্রিকস্‌‘‘। বেস্টের অভাবনীয় প্রতিভা তাকে মাত্র সতেরো বছর বয়সে ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডে খেলার সুযোগ করে দেয়।

১৭ বছর বয়সে ইউনাইটেডের হয়ে অভিষেক। টানা ১১ বছর খেলেছেন রেড ডেভিলদের হয়ে। ১৯৬৮ সালে প্রথম ইউরোপিয়ান কাপ (এখনকার চ্যাম্পিয়নস লিগ) জেতা ইউনাইটেড দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ওই মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ৫৩ ম্যাচে করেছিলেন ৩২ গোল। মনে রাখবেন, বেস্ট কিন্তু স্ট্রাইকার ছিলেন না। মূলত ছিলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। পরের চার মৌসুমে আরও ৯৪ গোল।

খ্যাতির হাত ধরে আসে অর্থ, আসে অন্ধকার পথে পা বাড়ানোর হাতছানি। নারী, মদ আর জুয়ার নেশায় নিজেকে শেষ করে ফেলেন। না হলে হয়তো তাঁর নাম উচ্চারিত হতো ফুটবলের সর্বকালের সেরাদের সঙ্গে একই কাতারে। সেই প্রতিশ্রুতি ছিলই। বেস্ট কতটা অপ্রতিরোধ্য ছিলেন সেটা বোঝা যাবে একবার এক ম্যাচে তাঁকে আটকানোর দায়িত্ব পাওয়া এক ডিফেন্ডারের কথায়। রয় ফেয়ারফ্যাক্স নামের সেই খেলোয়াড়টি বলেছিলেন, ‘আমি একবারই তাঁর সবচেয়ে কাছাকাছি যেতে পেরেছিলাম! যখন ম্যাচ শেষে আমরা হাত মেলাচ্ছিলাম।'’

তিনি যোগ দেবার পরে শুরু হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড্‌ এর স্বর্ণযুগ। সেই বছর এফ্‌ এ কাপ পরের বছর এফ,এ,কাপ পরের বছর লীগ চ্যাম্পিয়ান শীপ ও ইউরোপীয়ান ক্লাব জিতে নেয় ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড। সে সময়ে ববি চার্লটন, ডেনিশ ল ও জর্জ বেষ্ট এর জোট ছিল যে কোন রক্ষণভাগের জন্য এক মূর্তিমান ত্রাস। বেস্টের বল কন্ট্রোল ও শূন্য বল দখলের ক্ষমতা ছিল অতুলনীয়। দু‘পায়েই ছিল প্রচন্ড শট । তিনি মাত্র ১৯ বছর বয়সে লীগে ২৮টি গোল করে হলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা।

১৯৪৬ থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত তিনি উত্তর আয়ারল্যান্ডের জাতীয় দলের ৩৭ বার প্রতিনিধিত্ব করেন। মাত্র ১৯ বছর বয়স থেকেই ‘‘ফুটবলের বিটলস্‌‘‘ ফুটবল ম্যাজেসিয়ান‘‘ অভিধায় ফুটবল অনুরাগীর সমাদর লাভ করতে থাকেন। দর্শকদের এত অনুরাগ ও স্তুতি খুবই স্বপ্ল সংখ্যাক খেলোয়াডের জীবনে আসে।

এই ফুটবল কিংবদন্তীর কখনো ফুটবল বিশ্বকাপ খেলা হয়ে উঠে নি। আর এই কারণেই জর্জ বেস্টকে বলা হয় কখনোই বিশ্বকাপ না খেলা সর্বকালের সেরা ফুটবলার। ফুটবলীয় শক্তির বিচারে খর্বশক্তির দল উত্তর আয়ারল্যান্ডে জন্মেছিলেন বলে শুধু বিশ্বকাপ নয় বরং ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও খেলা হয়নি কখনো।

১৯৬৩ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যাঞ্চেষ্টারের হয়ে অভিষেক মৌসুমে ২৬ ম্যাচে করেন ৬ গোল। সে মৌসুমে ইউনাইটেড এফ এ কাপ কিংবা ফাস্ট ডিভিশন লীগ টাইটেলের কোনোটিই জিততে পারেনি। কিন্তু এফ এ ইয়ুথ কাপ জিতেছিলো, যেখানে বেস্ট খেলেছিলেন। পরবর্তী মৌসুম তথা ১৯৬৪-৬৫ সালে বেস্ট ক্লাবের নিয়মিত সদস্যদের একজন হোন এবং মৌসুমের বেশিরভাগ ম্যাচই খেলেন। সেবার ইউনাইটেড লীগ শীরোপা জিতেছিলো, কিন্তু এফ এ কাপের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছিলো। মৌসুমে ৫৯ ম্যাচে ১৪ গোল করেন জর্জ বেস্ট।

১৯৬৫ সালের ইউরোপিয়ান কাপ তার জীবনের দ্বার খুলে দেয়। অপ্রতিরোধ্য এক বেস্টকে আবিষ্কার করে ফুটবল বিশ্ব। হেলসিঙ্কির বিরুদ্ধে জোড়া গোলের পর বেনিফিকার বিরুদ্ধেও জোড়া গোল দিয়ে বসেন বেস্ট। তার অতিমানবিক পার্ফমেন্স ফলাও করে প্রকাশ করে বিশ্ব মিডিয়া। পরবর্তী মৌসুমে স্যার ববি চার্লটন ও ডেনিস লো'র সাথে জুটি বেঁধে নিজেকে নিয়ে যান অন্যে এক উচ্চতায়। মৌসুমে ৪৩ ম্যাচে করেন ১৭ গোল! '৬৬-৬৭ মৌসুমেও ইউনাইটেডের গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার হিসেবে ক্লাবের ৭ম লীগ টাইটেল হয় করেন; তার পা থেকে আসে ১০ গোল। '৬৭-৬৮ মৌসুম ছিলো জর্জ বেস্টের ফুটবল ক্যারিয়ারের সর্বশ্রেষ্ঠ সময়। '৬৮ সালে ইউরোপিয়ান বেস্ট প্লেয়ার হিসেবে জিতে নেন ব্যালন ডি'ওর পুরষ্কার।

জর্জ বেস্টের পুরো ফুটবল ক্যারিয়ারটাই ছিলো আলোচনা- সমালোচনার তুঙ্গে। কখনোও সেসবে ইচ্ছে করেই পা বাড়িয়েছেন তিনি, আর কখনোওবা তার বদঅভ্যাস কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্যারিয়ারের প্রশ্নে!

এলকোহল প্রীতি তাকে প্রায় ধ্বংস করে দিচ্ছিলো ক্ষণে ক্ষণে। যদিও ব্যাপারটা তিনি উপভোগ করতেন! শুধুমাত্র ড্রাগ নেয়ার কারণে মিস করেছেন বহু ম্যাচ, প্রেক্টিস সেশন! তাছাড়াও জড়িয়েছেন বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো মাতাল হয়ে গাড়ি চালানো, মহিলাদের হ্যান্ডব্যাগ ছিনতাই করে এলকোহলের টাকা চুরি করা, মাতাল হয়ে টিভি শো'তে উপস্থিত হওয়া!

১৯৭০ সালটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো বেস্টের জন্য। সে বছর একাধিকবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য কঠোর শাস্তি পেতে হয়ে তাকে। একবার অভিনেত্রী সিনাদ কৌসাকের সাথে উইকেন্ড কাটাতে মিস করেছিলেন ক্লাবের ম্যাচ! মাস দুয়েক পরেই পুরো এক সপ্তাহ ক্লাব ট্রেনিং ফাঁকি দিয়ে সময় কাটিয়েছেন 'মিস ব্রিটেন' এর সাথে। মদের প্রতি তীব্র আকর্ষণ তাকে করে তুলেছিলো অবসাদগ্রস্ত। অবসরের ঘোষণাও দিয়েছিলেন দু'বার! তবে সব ভুলে দুবার'ই মাঠে ফিরেছেন খেলার টানে।

১৯৭৩-৭৪ মৌসুম ছিলো ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেডের হয়ে জর্জ বেস্টের শেষ মৌসুম। সকল প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মোট ৪৭০ ম্যাচে নেমেছেন লাল-শয়তান'দের হয়ে। গোল করেছেন ১৭৯ বার! ১৯৭৫ থেকে '৮৪ সাল পর্যন্ত যাযাবরের বেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন বিশ্বের অনেক দেশের ক্লাব ফুটবলে। কখনোও আমেরিকা, কখনোও আয়ারল্যান্ড, কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা- স্টকল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া! এর মধ্যে আবার দুই মৌসুমের জন্য ইংল্যান্ডেও এসেছিলেন ফুলহামের হয়ে খেলতে।

১৯৭৩ সালে ম্যাঞ্চেষ্টারে খুলেন 'স্ল্যাক এলিস' নামের নাইটক্লাব। ফুটবলার বেস্ট শহরের পুরোদস্তুর একজন বিজনেসম্যান হয়ে উঠলেন যখন আরোও কয়েকটা বুটিক হাউজ এবং রেস্টুরেন্ট খুলে বসলেন। '৭৮ সালে লাস ভেগাসে বিয়ের পাঠও সেরে ফেলেন বেস্ট; পাত্রী ইংলিশ অভিনেত্রী 'এঞ্জেলা ম্যাকডোনাল্ড-জেমস। বিয়ের ৩ বছর পর ক্যালম নামে এই দম্পতি এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তবে এঞ্জেলার মনের সমুদ্রে বেশিদিন সাঁতার কাটেননি বেস্ট; বছর আটেক পরে ডিভোর্স দিয়ে দেন তাকে।

১৯৯৫ সালে আবারোও বিয়ে করেন জর্জ বেস্ট৷ এবার পাত্রী লন্ডনের অ্যালেক্স পার্সে। এই বিয়েও ঠিকেনি। টানা ৯ বছর সংসার করার পর তাকেও ডিভোর্স দিয়ে দেন তিনি।

২০০২ সালে তার লিভার আক্রান্ত হয় বেস্টের৷ দু'বছর পর লন্ডনে সাক্সেস্ফুল লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা হয় তার শরীরে। ২০০৫ সালে অতিরিক্ত মদ্যপান, লিভার ড্যামেজ, অর্গানদের নিষ্ক্রিয়তা ও ম্যাডিটেশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেস্ট'কে মৃত্যুর দিয়ে ঢেলে দেয়৷ বেলফেস্টে তার শেষকৃত্য অনুষ্টান সম্পন্ন হয়।

বেস্ট ফুটবল মাঠে সেরা ছিলেন, ছিলেন মাঠের বাইরের সেরাও। কথায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। ছিল অসাধারণ রসবোধ। বেস্টকে স্মরণ করার সবচেয়ে ভালো উপায় সম্ভবত তাঁর কিছু অমর বাণীই আবার স্মরণ করা! আসুন বেস্টের এমনই কয়েকটি বাণী জেনে নিই—

° মদ খাওয়া বাদ দেয়া সম্পর্কে-

'মদ খাওয়া একবার বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম, অবশ্য তখন আমি ছিলাম ঘুমের মধ্যে।'

'১৯৬৯ সালে আমি একবার নারী ও অ্যালকোহল ছেড়ে দিয়েছিলাম। সেটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে ২০ মিনিট।'

° ডেভিড বেকহ্যাম'কে উদ্দেশ্যে করেঃ

'সে না পারে বাম পায়ে কিক করতে, না পারে হেড করতে! তাছাড়া ট্যাকেলও করতে পারেনা। আর এমন না সে অনেক গোল দিতে পারে। এগুলো বাদ দিলে সব ঠিক আছে।'

° এরিক ক্যান্টোনা প্রসঙ্গেঃ

'শুধুমাত্র ক্যান্টোনার সাথে ওল্ড ট্রাফোর্ডে কোনো ইউরোপীয়ান বিগ ম্যাচ খেলার জন্য আমি আমার সমস্ত জীবনের সব শ্যাম্পেইন দিয়ে দিতে পারি।'


° মোমবাতির দুই প্রান্তে আগুন দেয়া প্রসঙ্গেঃ

'মানুষ বলে থাকে মোমবাতির দুই প্রান্তে আগুন দেয়া উচিত না। সম্ভবত তাদের কাছে বড় পরিমানের পর্যাপ্ত মোমবাতি নেই।'

° আইকিউঃ

'একবার বলেছিলাম, গাজ্জার (পল গ্যাসকোয়েন) আইকিউ ওর শার্টের নম্বরের চেয়ে কম। এই শুনে ও আমাকে বলল, ‘আইকিউ জিনিসটা আবার কী?’

° জীবন সম্পর্কিত বাণীঃ

'মদ, নারী এবং দামি গাড়ির পেছনে আমি অনেক টাকা খরচ করেছি। এ ছাড়া আমার জীবনের বাকি সব কিছুই ছিল অপচয়।'

'আমি অনেক কিছুই মিস করি, এই যেমন মিস কানাডা, মিস যুক্তরাজ্য, মিস ওয়ার্ল্ড।'

'আপনি যদি আমাকে দুটো অপশন দেন; যেমন- লিভারপুলের বিপক্ষে চারজন প্লেয়ারকে পরাস্ত করে ৩০ গজ দূর থেকে অতিমানবীয় গোল করতে হবে, কিংবা মিস ওয়ার্ল্ডের সাথে বিছানায় যেতে হবে- তাহলে এটা কঠিন সিদ্ধান্তই হয়ে যায়। তবে সৌভাগ্যবশত আমি দুটোই করে দেখিয়েছি।'

'আমার মৃত্যুর পর তারা (ফুটবল ফ্যানরা) সকল আবর্জনা ভুলে যাবে, কিন্তু ফুটবল রয়ে যাবে। যদি মাত্র একজন মানুষ মনে করে আমি শ্রেষ্ট ফুটবলার ছিলাম- তাহলে এটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হবে।'

° পেলে প্রসঙ্গেঃ

'আমি কালো হয়ে জন্মালে কেউ পেলের নাম জানতেই পারতো না।'

এই বেস্ট-ই অন্য আরেকটি ইন্টারভিউয়ে পেলে প্রসঙ্গে বলেন-

'পেলে আমাকে সর্বকালের শ্রেষ্ট ফুটবলার বলেছেন। এটা নিঃসন্দেহে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মানের ব্যপার।'

° ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদো প্রসঙ্গেঃ

'পূর্বে অনেক ফুটবলারকে-ই 'নিউ জর্জ বেস্ট' বিশেষণে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তবে এখন এটা আমার কাছে বিশেষ সম্মানের মনে হচ্ছে।'

ফুটবলের বিবর্তনে হাজার- হাজার শ্রেষ্ট, অতিমানব ধরনের ফুটবলার দেখেছে বিশ্ব; যাদের জন্ম হয়- কিন্তু মৃত্যু হয়না। ইতিহাসের স্বর্ণালি পাতায় তারা স্থান দখল করে নেন চিত্তে- অবলীলায়; জর্জ বেস্ট তাদের-ই একজন।

© আহমদ আতিকুজ্জামান