• ক্রিকেট

সাকিব আল হাসান- বাংলার ক্রিকেটের সুপারস্টার

পোস্টটি ১৮২৩ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে। ১৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে রেকর্ড বইয়ের পাতা এফোঁড়ওফোঁড় করে লিখেছেন নতুন নতুন সব গল্প। হেন কোনো ফ্র‍্যাঞ্চাইজি লীগ নেই যেখানে বাংলাদেশের কেউ খেলেছেন কিন্তু সাকিব খেলেন নি। তাঁর কারণেই বিশ্ব বাংলাদেশকে নতুনভাবে চিনেছে। ইতোমধ্যে খেলে ফেলেছেন ৪ টি বিশ্বকাপ। '১৯ বিশ্বকাপে সাকিব যা দেখিয়েছেন তা বাংলাদেশের মানুষ মনে রাখবে আজীবন। ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এক বিশ্বকাপে ৬০০ রান ও ১০ উইকেট নিয়েছেন। বলতে গেলে একাই লড়ে গেছেন বাংলাদেশের হয়ে। বাংলাদেশের অধিনায়ক ও ছিলেন বেশ কয়েক বছর। বাংলাদেশের বড় কোন অর্জন মানেই যেন সাকিবের উইকেট, সাকিবের রান। রেকর্ডের বন্যা বইয়ে দেশের ক্রিকেটকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। অলরাউন্ডারদের র‍্যাংকিয়ের তিন ফরম্যাটেই এক নম্বরে ছিলেন লম্বা সময়। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার প্রতিনিয়ত ছাড়িয়ে যাচ্ছেন নিজেকে, মুগ্ধ করে চলেছেন ক্রিকেটপ্রেমীদের। তিনি ছাড়া ক্রিকেটের ওই বাইশ গজ যেন বড্ড বেমানান। তিনি ছাড়া বাংলাদেশ দল বড্ড অচেনা, একেবারেই ভারসাম্যহীন। বাংলার সত্যিকারের নবাব যেন সাকিব আল হাসান। রেকর্ড বইয়ের পাতায় পাতায় লিখেছেন নিজের নাম, হয়ত আরো লিখবেন। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে দেশের নিম্নআয়ের মানুষের জীবন হয়ে পড়েছে স্থবির। তাদের সহযোগিতার উদ্দেশ্যে সাকিব গড়ে তুলেছেন "দ্য সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন"। '১৯ বিশ্বকাপে নিজের ব্যবহৃত ব্যাটটি নিলামে তুলেছেন এবং রাজ নামের একজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছেন সাকিবের সেই ব্যাট। প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অর্থই যাবে দ্য সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনে। ইতোমধ্যে মাগুরায় সুবিধাবঞ্চিত পরিবারগুলিতে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সম্বলিত ১৫০০ প্যাকেজ বিতরণ করেছে দ্য সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন। অনুদানের জন্য ভিজিট করতে হবে: www.sahfbd.com মাঠ ও মাঠের বাইরে বরাবরই বেশ আক্রমণাত্মক সাকিব। এ নিয়ে অনেক কথাই শুনতে হয়েছে নানা সময়ে। এসব খুব একটা গায়ে লাগান না সেটা অনেকবারই বলেছেন তিনি। নিজের কাজে সাকিব বরাবরই নাম্বার ওয়ান। তাই ত নিন্দুকদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের কাজ করে গেছেন ঠিকঠাকমত। বাংলাদেশের জন্য এখন পর্যন্ত যা যা করেছেন সাকিব তা সত্যিকার অর্থে অতুলনীয়। জুয়াড়ির ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করে গত বছরের শেষ দিকে আইসিসির ২ বছরের(১ বছর স্থগিত) নিষেধাজ্ঞায় বর্তমানে সব ধরণের ক্রিকেটের বাইরে আছেন সাকিব। তিনি ফিরবেন, তাকে ফিরতেই হবে, লাল-সবুজ গায়ে আরো কঠিন হয়ে, আরো শক্ত হয়ে ফিরুক বাংলাদেশের জান, বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান। এমনটাই প্রত্যাশা সকলের। বাংলার এই বাঘের ভবিষ্যৎের জন্য শুভকামনা।