মার্শেই পেরিয়ে বহুদূরে...
পোস্টটি ২১৯৬ বার পঠিত হয়েছেমার্শেইর তীরে এক নদীর নাম রোন। পড়ন্ত বিকেলে নদীর পানিতে যখন সূর্যটা ডুবছিল, সেদিকে তাকিয়ে ভারী মন খারাপ এক কিশোরের। ঝাকড়া চুলের নিচে আরব মুখাবয়ব কিন্তু এই সূর্যের জন্য বিষণ্ণ নয়। স্কুল পালিয়ে পাশের শহরতলীতে ফুটবল খেলতে গিয়েছিল সে। সেখানে একজন দর্শক ছিল তার বাবা। ৩-১ গোলে হেরে গেছে কিশোরের দল। খেলা শেষে ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ বাবাকে আবিষ্কার, শিঁড়দারা বেয়ে এক চোরা স্রোত নেমে গেল ভয়ে- ‘আজকে পিঠে বস্তা বাঁধতে হবে।’
‘স্কুল পালিয়ে যদি এমনভাবে হারতে হয় তাহলে স্কুল পালানোর দরকার নেই। যেটা পারবে না, তার পেছনে সময় নষ্ট করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।’ পালিয়ে ধরা খাওয়ার জন্য নয়, কিশোরের মন খারাপ তার খেলার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায়। সে কি তাহলে ফুটবল খেলতে পারে না? কোনো দিন বড় ফুটবলার হতে পারবে না? ‘হায় আল্লাহ, আমি যে ফুটবল অনেক ভালোবাসি!’
বিষয়টি ফুটবল বিধাতা খেয়াল করেছেন নিশ্চয়ই। মার্শেইর এক ঠাণ্ডা-স্নিগ্ধ গোধূলীতে কিশোরের প্রার্থনা কবুল হলো। ওই কিশোরই ১৯৯৮ সালে স্তাদো দ্য ফ্রান্সে ব্রাজিলের কফিনে মাথা দিয়ে দুটি পেরেক ঠুকলেন, সপ্তম আকাশে তুলে দিলেন নেপোলিয়নের উত্তরসূরিদের।
জিনেদিন ইয়াজিদ জিদান। জিদানকে নিয়ে লিখতে বসে পরিসংখ্যানের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে না। প্রফেশনাল ক্যারিয়ার শুরু করেন কত সালে, প্রথম হ্যাটট্রিক করেন ওই বয়সে, প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন আমেরিকার ইরাক আক্রমণের পর- এ সমস্ত কথা, শব্দ বা বাক্যমালা বড় ক্লিসে, পানি পানি লাগে। বলের সঙ্গে যার পা সিল্কি ভাষায় কথা বলে, এত অলস সৌন্দর্য জড়িয়ে তার প্রতিটি মুভমেন্টে, হঠাৎ হঠাৎ অপার্থিব সব গোল করে বসেন। দুজন ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে চকিতে ব্যাকহিল, বল গলিয়ে ১৯০ ডিগ্রী ঘুরে অনায়াসে বেরিয়ে যান, যেন কোনো ধ্রুপদী নাচের স্টেপস। তাই জিদানকে নিয়ে ধরাবাঁধা লেখা লিখতে মন চায় না।
এরচেয়ে বরং একদা কেভিন কিগান কি বলেছেন শুনি- ‘আপনি খেয়াল করে জিদানের খেলা দেখলে বুঝবেন এমন কাউকে আর দেখেননি। ম্যারাডোনা, ক্রুয়েফ গ্রেট প্লেয়ার, কিন্তু জিদান যেভাবে বল ‘ম্যানুপুলেট’ করে, চরম ভিড়ের মধ্যে এক মোচড়ে জায়গা তৈরি করে নেয়; এটা সত্যিই স্পেশাল।’ সাবেক এই ইংলিশ কোচ নিজেও এক সময় বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন, বহু বছর শীর্ষ পর্যায়ে ফুটবল খেলেছেন। বিশ্বকাপ জয়ী ইটালিয়ান কোচ মার্সেলো লিপ্পি বলছেন, ‘গত ২০ বছরে আমার দেখা সেরা প্রতিভাবান জিদান। সৌভাগ্য যে, ওর ম্যানেজার ছিলাম আমি।’
পেলে হয়ত ম্যারাডোনাকে খোঁচা দেয়ার জন্যই একবার বলেছিলেন, ‘সে তো ডি স্টেফানোর মানের ফুটবলারও নয়।’ ফুটবলের প্রথম সুপারস্টারদের একজন সেই স্টেফানো বলেছেন, ‘জিদান ইজ এ ওয়াকিং স্পেকটেক্ল। ওর পায়ের পাতায় সিল্কের গ্লাভস আছে! এমন একজনের খেলা দেখতে স্বশরীরে স্টেডিয়ামে যেতে মন চায়।’ টানা তিনবার ‘ইউরোপিয়ান ফুটবলার অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জেতা মিশেল প্লাতিনি আরও স্পেসিফিক, ‘ফুটবলের ফান্ডামেন্টালস হলো কন্ট্রোল অ্যান্ড পাসিং। বল কন্ট্রোল ও রিসিভ করার ব্যাপারে জিদানের তুলনীয় কেউ নেই।’
বল রিসিভ করাও যে একটা শিল্প হতে পারে; তা কেবল জিদানের খেলা দেখে মুগ্ধ হওয়া মানুষেরাই ভালো বর্ণনা করতে পারবেন। মাটি থেকে তিন ফুট লাফিয়ে, পুরো বাম পা স্ট্রেচ করে যে বলের নিয়ন্ত্রণ নেন জিদান, তা ডেলিভারি করার পরই পাসার নিশ্চিত ছিলেন ‘থ্রো ইন’ হবে! নাইজেরিয়ার এক ডিফেন্ডারের ট্যাকেলে এক হাঁটু ভেঙে পড়ে গিয়েও বলের নিয়ন্ত্রণ হারাননি জিদান। উল্টো, আস্তে-ধীরে উঠে কত নিস্পৃহভাবেই না সতীর্থকে ঠেলে দিলেন সে বল।
২০০৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তার এক লম্বা পাসেই ব্রাজিলের রক্ষণ চুরমার করে দিলেন থিয়েরি হেনরি; যেমনটি ১৯৯০ সালে ম্যারাডোনার পাসে করেছিলেন ক্যানিজিয়া। এখানেই সাধারণ ফুটবলারদের সঙ্গে গ্রেটদের পার্থক্য। তাদের একটি ছোঁয়া অথবা মুহূর্তের চপলতা ব্রাজিলের মতো দলকে ছিটকে ফেলে দিতে পারে বিশ্বকাপ থেকে। ‘জিদান অন্যগ্রহের ফুটবলার, ও যখন মাঠে প্রবেশ করে, অন্য দশজন সতীর্থ আরও ভালো হয়ে যায়। ইট ইজ সিম্পল-’ অকপটে বলে গেলেন ইব্রাহামোভিচ, যাকে নরডালের পর সেরা সুইডিশ ফুটবলারের সম্মান দিয়েছে সবাই।
আচ্চা, জিদান কি অতিমানব ছিলেন? প্রশ্নটি শুনে হয়ত অনেকেই হাসবেন। তিনি অতিমানব হতে যাবেন কেন? তিনি ছিলেন আর দশজনের মতোই রক্ত- মাংসে গড়া একজন মানুষ। রক্ত-মাংসের মানুষ ছিলেন বলেই ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে মার্কো মাতেরাজ্জিকে দিয়েছিলেন অমন এক ঢুস। মাতেরাজ্জির সেই কুখ্যাত ‘খিস্তি’ সহ্য করে তিনি যদি ছোট্ট একটা হাসি দিতেন, তবেই তাঁকে ‘অতিমানব’ হিসেবে অভিহিত করা যেত। কিন্তু তিনি তা করেননি, আর করেননি বলেই লাল কার্ডের কঠিন শাস্তি নেমে এসেছিল তাঁর ওপর।
বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁর সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল তাঁর দেশ। কিন্তু ফুটবল মাঠে তাঁর ক্যারিকেচার দেখলে তাঁকে অতিমানবই মনে হতে পারে। কী অবলীলায় তিনি প্রতিপক্ষের একের পর এক খেলোয়াড়কে ফাঁকি দিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে যেতেন। বলটাকে পায়ের সঙ্গে এমনভাবে আটকে রাখতেন মনে হতো যেন ওটা তাঁর কোনো ঐশ্বরিক নিয়ন্ত্রণের দাস। দৌড়রত অবস্থায় বলে ওপরের অংশে পা দিয়ে তিনি ঘুরিয়ে দিতে পারতেন তাঁর গতি-প্রকৃতি। চেষ্টা করলে যে কেউই কি বলের সঙ্গে অমন সখ্য গড়তে পারবেন? মনে তো হয় না। এই জায়গাতেই তিনি ‘অতিমানব’, অনন্য, অসাধারণ এক ফুটবল প্রতিভা।
জিদানকে অনেকেই পেলে- ম্যারাডোনার পর সবচেয়ে বড় ফুটবল প্রতিভা হিসেবে চিহ্নিত করেন। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ওই দুই ফুটবল কিংবদন্তির সমকক্ষ হতে হলে যা যা থাকা দরকার, তার সবটাই ছিল জিদানের মধ্যে। দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। নিজের খেলা দিয়ে দেশের ফুটবলকে নিয়ে গেছেন অন্যরকম উচ্চতায়। তাঁর সময়ে অমন আর একজন ফুটবলারও কি পাওয়া যাবে?
বিশ্ব একটু দেরি করেই চিনেছিল ফুটবলের এই রাজাকে। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ক্যারিয়ার শুরু করা জিদানকে বিশ্বকাপের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেক দিন। ১৯৮৬-এর বিশ্বকাপে ঝড় তোলা প্লাতিনি-টিগানার ফ্রান্স বাছাইপর্বের বাধা পেরোতে পারেনি পরপর দুটো বিশ্বকাপে (১৯৯০, ১৯৯৪)। আটানব্বইয়ে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চিনিয়েছেন জিদান। প্রায় একক প্রচেষ্টায় ফ্রান্সকে প্রথমবারের মতো এনে দেন বিশ্বকাপ জয়ের গৌরব। ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে সেই অসাধারণ দুটি গোলই তাঁকে তুলে দিয়েছিল ফুটবলের ‘হল অব ফেমে’।
২০০৬ সালে তিনি যেন নিজেকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। ফ্রান্সকে আবারও একাই ফাইনালে তুললেও এবার আর জয় এনে দিতে পারেননি। বরং রক্ত-মাংসের মনুষ্য-প্রবৃত্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে ট্র্যাজিক নায়ক হিসেবেই শেষ হয়েছে তাঁর ক্যারিয়ার।
২০০২ সালের বিশ্বকাপের কথা বলা হয়নি? জিদানের ব্যাপারে এই বিশ্বকাপ নিয়ে আসলে বলার কিছু নেইও। চোটের কারণে সেনেগাল ও উরুগুয়ের বিপক্ষে ফ্রান্সের প্রথম দুটো ম্যাচে খেলেননি তিনি। ডাগআউটে বসেই তিনি দেখেছিলেন নবিশ সেনেগালের কাছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নিজ দেশের পরাজয়, উরুগুয়ের বিপক্ষে নির্বিষ ড্র। পুরোপুরি সেরে ওঠার আগেই দলের প্রয়োজনে মাঠে নেমে দেখলেন ডেনমার্কের বিপক্ষে ২-০ গোলের হার, সেই সঙ্গে গায়ে মাখলেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরবর্তী বিশ্বকাপে খেলতে এসে ‘সবচেয়ে বাজে ফলে’র গ্লানি। তিনটি ম্যাচে একটি গোলও না করে সেবার প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছিল ফ্রান্স। ২০০২ বিশ্বকাপের কাহিনিটি বলার একটা বিশেষ কারণ আছে। জিদান নিজেকে ঢেলে দিয়েছিলেন বলেই ১৯৯৮ ও ২০০৬ সালে ফাইনাল অবধি গিয়েছিল ফ্রান্স।
ফাইনালে নিজেকে ছাড়িয়েছিলেন বলেই আটানব্বইয়ে ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে হারাতে পেরেছিল তাঁর দল। ২০০৬ সালে ফাইনালটা পুরোপুরি খেলতে পারেননি বলেই কী ফ্রান্সের হার? নাহ, এই তর্কটা তোলাই থাক। তবে জিদানের রাজকীয় উপস্থিতিতে ফ্রান্স দলের বাকিরা যে বড্ড বেশি অনুজ্জ্বল—এটা তর্ক ছাড়াই মেনে নেবেন অনেকে।
১৮৮৯ সালে ক্যানসের হয়ে লীগ ওয়ান শুরু, ৪ বছর বোর্দোতে, ১৯৯৬ সালে যোগ দেন জুভেন্টাসে। সিরি-এ- শিরোপা জিতে ওল্ড লেডি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে হেরে যায় আয়াক্সের কাছে। পরের মৌসুমে আবারও স্কুডেট্টো আসে জিদানের হাতে, কিন্তু এবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফসকে চলে যায় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে আসেন মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে। প্যারাগুয়েকে ১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালিকে টাইব্রেকারে আউট করে এক প্রকার খোঁড়াতে খোঁড়াতেই ফাইনালে উঠে ফ্রান্স। মাঝখানে উইং ব্যাক লিলিয়ান থুরামের জোড়া গোল সেমিফাইনাল অভিশাপ থেকে মুক্তি দেয় তাদের।
ফাইনালে ব্রাজিল হট ফেভারিট। দুর্দান্ত ফর্মে রোনালদো। রোনালদিনহো, রিভালডো, রবার্টো কার্লোস ও কাফুদের নিয়ে কি ভয়ংকর স্কোয়াড ব্রাজিলের! ওদিকে দেশম, ত্রেজেগে, হেনরি, থুরামদের সঙ্গে জিদান নামে যে কেউ আছেন, অন্তত স্কোরকার্ড দিয়ে তা আলাদা করার উপায় নেই। ফিল্ডগেমে অবশ্যই সবাইকে ছাড়িয়ে আকাশে জ্বলছেন।
ওয়েল, এখন গোল দরকার? ‘এই নাও’ বলে হাফ টাইমের আগে দু’প্রান্তের দুটি কর্নার থেকে চাঁদির দু’পাশ দিয়ে বুলেট গতির দু’টি হেডার, এখনই জেনে রাখুন এর আগে শীর্ষ পর্যায়ে মাথা দিয়ে কখনও গোল করেননি জিদান। এক্সট্রা টাইমে মানুয়েল পেটিটের গোলে ব্রাজিলকে বিধ্বস্ত করে প্রথম বিশ্বকাপ জিতে নেয় ফ্রান্স। দু’বছর পর আবার ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে দারুণ এক ফ্রিকিকে স্পেন বধের পর সেমিতে পেনাল্টি গোলে ফিগোর পর্তুগালকেও বিদায় কর দেন জিদান। ফাইনালে উইলটর্ড ও ত্রেজেগের গোলে ইতালিকে হারায় রজার লেমেরের দল।
১৯৯৮ সালের পর সেবারও ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার জিদান। ক্যারিয়ারে খুব বেশি গোল নেই। কিন্তু প্রয়োজনের সময় ঠিকই জাল ছুঁয়েছেন জিজু। ২০০২ চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে যেমন বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের অসাধারণ এক ভলিতে বেয়ার লেভারকুজেনকে অসহায় বানিয়ে দেন। হ্যাম্পডেন পার্কে উপস্থিত এক ইংলিশ সাংবাদিক পরে বলেছিলেন, ‘জিদানের এমন অবিশ্বাস্য গোলের দিনে মাইকেল বালাক কিভাবে শিরোপা জেতেন?’
তখন লেভারকুজেনে খেলতেন সাবেক জার্মান অধিনায়ক। ঐ বছরও ফিফা বর্ষসেরা মনোনীত হন জিদান। রোনালদো, জিদানকে ছাপিয়ে মেসি অবশ্য ইতোমধ্যে সর্বোচ্চবার এই পুরস্কার জিতেছেন। তবে মেসির সময়কাল ২০১১-তেই বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের ভোটে গেল দুই দশকের সেরা ফুটবলার (চ্যাম্পিয়ন্স লিগের) বিবেচিত হন জিদান। এর আগে ২০০০ সালে ৫০ বছরের মধ্যে সেরা ইউরোপিয়ান ফুটবলারের সম্মানও জুটে। প্রতিদ্বন্দ্বিদের নামগুলো স্মরণে নেয়ার লোভ সামলাতে পারছি না। বেকেনবাওয়ার, চার্লটন, ক্রুয়েফ, ববি মুর, প্লাটিনি, বাস্তেন, গুল..
গল্পের অনেক পৃষ্টা-ই বাকি থেকে যায়। ফুটবলার জিদান খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করে বসে থাকতে পারেন নি। রক্তে ফুটবলের টানে হোক আর পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্তের কারণে হোক; জিদান আবারো নেমে পড়েছেন মাঠে। নাহ, এবার খেলতে নয়; কোচ হিসেবে বাজিমাত করতে। ইতিমধ্যেই লস গ্যালাক্টিকোসদের চোখের মধ্যমনি হয়ে গিয়েছেন কোচ জিদান; এ গল্পে কোচ জিদানের পাতা বরং অসংযুক্ত-ই থাক।
তবে এতটুক বলা যায়, মার্শেইর সে কিশোর সীমাহীন বাঁধা পেরিয়ে আজ স্পেন সাম্রাজ্য রাজত্ব করছেন দৃঢ়চিত্তে! কিছু মানুষ কেবল স্বপ্ন দেখে, আর কিছু মানুষ স্বপ্নের চেয়েও বড় হয়; জিদান যেন এই বার্তাটুকুই আমাদের জেনারেশনকে দিয়ে আসছেন বহুদিন ধরে। জন্মদিনে তার প্রতি শুভেচ্ছা রইলো৷
© আহমদ আতিকুজ্জামান।
- 0 মন্তব্য