• ফুটবল

রিয়ালের লিগ জয়ের পার্শ্বনায়কেরা

পোস্টটি ১৫৭০ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

৩৪ তম লালিগা জয়ে জিদানের ট্যাক্টিস, দলগত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল পার্শ্বনায়কদের কার্যকরী ভূমিকা।

ফারল্যান্ড মেন্ডিঃ

রিয়ালে নিজের প্রথম মৌসুমেই অসাধারণ পারফরম্যান্সে মুগ্ধ করেছেন সবাইকে। লেফটব্যাকে একসময়কার অটোচয়েজ মার্সেলোকে বেঞ্চড করে দিয়েছেন মেন্ডি। লালিগায় চার এসিস্টের পাশাপাশি করেছেন একটি গোল। জিদানের কৌশলে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছেন। রোনালদোবিহীন রিয়ালের গোল করার প্রবণতা স্বাভাবিকভাবেই আগের চেয়ে বেশ কমে গেছে, হ্যাজার্ডের ইঞ্জুরি, বেলের অফফর্ম মিলিয়ে গোলের জন্য ভরসা সেই পোড় খাওয়া করিম বেনজেমাই। সেজন্যই জিদান জোর দিয়েছেন ডিফেন্সে। আগে রক্ষণ সামলানো, পরে আক্রমণে যাওয়া- ঠিক এই জায়গাটাতেই মার্সেলোকে টপকে গেছেন মেন্ডি, বেশিরভাগ ম্যাচেই জায়গা করে নিয়েছেন মূল একাদশে। জমাট রক্ষণের কারণে লালিগায় ৩৭ ম্যাচে রিয়াল গোল হজম করেছে মাত্র ২৩ টা। ক্লিনশীট ছিল ১৯ ম্যাচে, যেগুলোর বেশিরভাগই শুরু থেকে খেলেছেন মেন্ডি।

কাসেমিরোঃ

গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে কোনো ব্যাকআপ ছাড়াই পুরো মৌসুম নিরলসভাবে খেলে গেছেন। ডিফেন্স আর মিডফিল্ডের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ৩৪ ম্যাচে শুরু থেকেই খেলেছেন কাসেমিরো। প্রতিপক্ষকে কড়া পাহারায় রেখেছেন, কাউন্টার অ্যাটাক আটকে দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে আক্রমণেও সাহায্য করেছেন। চার গোলের পাশাপাশি রয়েছে তিনটি এসিস্টও। নিঃসন্দেহে দলের অন্যতম পরিশ্রমী এবং গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, লিগ জয়ে রেখেছেন অনন্য ভূমিকা।

থিবো কোর্তোয়াঃ

আগের মৌসুমে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্সে ভক্তদের দুয়ো শুনেছেন। এ মৌসুমের শুরুতেও বাজে ভুল, দৃষ্টিকটু মিসের কারণে প্রচুর গোল হজম করতে হয়েছে। সেই কোর্তোয়াই দারুণভাবে ফিরে এসেছেন মৌসুমের পরেরভাগে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অসাধারণ সব সেভ আর একের পর এক ম্যাচে অক্ষত রেখেছেন গোলপোস্ট। লালিগায় সর্বোচ্চ ১৮ টি ক্লিনশীট নিয়ে আছেন শীর্ষে(শেষ ম্যাচের আগ পর্যন্ত), লিগ জয়ে গোলবারের নিচে কোর্তোয়ার দৃঢ়তাও রেখেছে কার্যকরী ভূমিকা।

ফেডরিকো ভালভার্দেঃ

সন্দেহাতীতভাবে মৌসুমের সেরা আবিষ্কার। সেবায়োসকে লোনে আর মার্কোস ইয়োরেন্তেকে বিক্রি করে দেয়ায় মিডফিল্ডে ব্যাকআপ বলতে ছিলেন এই তরুণ, অখ্যাত ভালভার্দেই। অচেনা এই ভালভার্দেই এখন হয়ে উঠেছেন ভক্তদের প্রিয় মুখ। এল ক্লাসিকো আর মাদ্রিদ ডার্বির মত বড় ম্যাচগুলোতে জিদানের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। ভালভার্দের সবচেয়ে বড় শক্তি গতি। বেশ দ্রুতই আক্রমণে উঠতে পারেন, আবার প্রয়োজনে প্রতিপক্ষ থেকে বল কেড়েও নিতে পারেন। ২০ টি ম্যাচে শুরু থেকে খেলে ২ গোলের পাশাপাশি আছে ৫ টি এসিস্ট। জিদানের রোটেশন পলিসির কারণে ক্রুস-মডরিচদের সাথে ঘুরে ফিরে খেলার সুযোগ পেয়েছেন এবং বড় ম্যাচের চাপও সামলেছেন বেশ ভালোভাবেই।

FB_IMG_1594935726208 গত মৌসুমের ভাঙ্গাচোরা এক দলকে দায়িত্ব নেয়ার পরই সুন্দরভাবে গড়ে তুলেছেন জিদান। বছরের শুরুর দিকে সুপারকোপা জয়ের পর এবার লালিগা, জিনিয়াস জিদানের হাত ধরে এরপর হয়ত আরো অনেক কিছু। জিদানের উপর ভরসা করে আশায় বুক বাঁধতেই পারে মাদ্রিদিস্তারা।