পুরুষদের টেনিসে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা নোভাক জোকোভিচ 'অখেলোয়াড় সুলভ আচরণ'- এর দায়ে বাদ পড়ে যাওয়ার পর ভাগ্য খুলে যায় স্পেনের কারেনো বুস্তার। কিন্তু সেমিফাইনালে উঠে প্রথম দুই সেটে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত পরাস্ত হয়েছেন র্যাঙ্কিংয়ের সাতে থাকা জার্মান তারকা আলেক্সান্ডার জেভেরভের কাছে। ২৩ বছর বয়সী জেভেরভ ম্যাচটি জিতেছেন ৩-৬, ২-৬, ৬-৩, ৬-৪, ৬-৩ সেটে। রাফায়েল নাদাল তাকে নিয়ে একবার বলেছিলেন 'ভবিষ্যতের স্পষ্ট সম্ভাবনাময় নাম্বার ১"। তার ঝুলিতে ১১টি এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুরের (সিঙ্গেল) শিরোপা আছে। নোভাক জোকোভিচের পর সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে ইউএস ওপেনের ফাইনালে পা রাখলেন তিনি। জেভেরভ বলেন, "প্রথম দুই সেটে হারের পর আমি স্কোরবোর্ডে তাকাই। ভাবলাম, গ্র্যান্ডস্লামের সেমিফাইনাল খেলছি, আমি এভাবে হেরে যাব যেখানে আমারই ফেভারিট হিসেবে থাকার কথা? আচ্ছা, আমি এবার সেট বাই সেট খেলি আস্তে ধীরে, আমাকে আরো ভালো খেলতে হবে এবার। নতুনভাবে শুরু করতে হবে।"
ফাইনালে জেভেরভ মুখোমুখি হবেন অস্ট্রিয়ান তারকা ডমিনিক থিয়েমের। থিয়েমও তার প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের থেকে কয়েক ইঞ্চি দূরে আছে। ২০১৮ সালে রোলা গ্যাঁ রো টুর্নামেন্টের ফাইনালে রাফায়েল নাদালের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়ে যায় তাঁর। চলতি বছরের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে হারেন নোভাক জোকোভিচের কাছে। তবে আবার তিনি সুযোগ পেয়েছেন। ১৩ই সেপ্টেম্বরের ফাইনালে নিজের সেরাটা দেখানোর জন্য মুখিয়ে থাকবেন নিঃসন্দেহে। থিয়েম বলেন, "যখনই দেখলাম, জোকোভিচ বাদ পড়ে গেলেন, তখন এটা একদম পরিষ্কার হয়ে হয়ে গিয়েছিল যে নতুন চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে গ্র্যান্ডস্লাম। এখন আমার নজর 'সাশা'র (জেভেরভের ডাকনাম) দিকে। সেভাবেই খেলতে নামবো ফাইনালে, যেভাবে এই টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো খেলে এসেছি।"
১৭ বার গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী নোভাক জোকোভিচ এই টুর্নামেন্টে টপ ফেভারিট ছিলেন, কারণ তাঁরই সমসাময়িক প্রতিদ্বন্দ্বী রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল, স্ট্যান ওয়ারিঙ্কারা খেলছেন না এবার। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নাদাল ও ওয়ারিঙ্কা সরে এসেছিলেন এবং ফেদেরার ছিলেন হাটুর ইনজুরিতে।দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এই হাড্ডাহাড্ডি ফাইনালটি গ্যালারিতে বসে উপভোগ করতে পারবেন না টেনিসপ্রেমীরা। দর্শকশূন্য গ্যালারির সামনেই আগামীকাল কার হাতে ওঠে নিজের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম, সেটিই মূল আকর্ষণের বিষয়।