ফুটবলে অদ্ভুতুড়ে সংস্কার ও ব্ল্যাক ম্যাজিক
পোস্টটি ২০৮৮ বার পঠিত হয়েছেঅক্টোবর, ১৯৯৮। কঙ্গোতে তখন যুদ্ধ চলছে। রাজধানী কিনশাসা থেকে বেশ দূরের এক জনপদ বেনা শাদি। যুদ্ধের আগুন সেখানে জ্বলে ওঠেনি তখনও। সেখানে তখন স্থানীয় কিছু দল নিয়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিলো। তারই এক ম্যাচে স্বাগতিক দল বেনা শাদির মুখোমুখি হলো বাসাগাংগা নামের এক দল। বেনা শাদি মোটামুটি শক্তিশালী দল, তার ওপর নিজেদের মাঠ। তাই বেশ ডমিনেট করেই খেলছিলো। স্কোরলাইন অবশ্য ১-১। তখনই ঘটলো ঘটনাটা। হঠাৎ করেই বিকট শব্দে মাঠের মাঝে বজ্রপাত। মাঠের মধ্যেই লুটিয়ে পড়লো বেনা শাদি দলের সবকটি খেলোয়াড়। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা গেলো সবাই। একদম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল পুরো দলটাই। দর্শকদের মাঝেও গোটা ত্রিশেক লোক আহত হলো।
কিন্তু একদম সুন্দর রোদেলা বিকেলে হঠাৎ কোনো মেঘ ছাড়াই এমন বাজ পড়লো কেন? আচ্ছা, ধরে নিলাম প্রকৃতিতে এমন ঘটেই থাকে, অস্বাভাবিক কিছুনা। কিন্তু মূল প্রশ্নটা অন্য জায়গায়। মাঠে খেলা চলছিলো, খেলছিলো দুদলের মোট বাইশজন খেলোয়াড়। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, যেখানে বেনা শাদির সবাই মারা গেলো, সেখানে বাসাগাংগা দলের কেউ সামান্য আহত পর্যন্ত হয়নি! পুরোপুরি অক্ষত অবস্থায় ঘরে ফিরলো তারা সবাই।
ঘটনাটা তখন চারিদিকে বেশ শোরগোল তুলেছিলো। পরদিন আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকায় ছাপা হলো এ অদ্ভুতুড়ে খবর। স্থানীয় সব লোকজনের সাথে কথা বলে সত্যতা যাচাই করা হয়। আর সবারই মন্তব্য ছিলো, এ ঘটনার জন্য দায়ী বাসাগাংগা! তারাই ব্ল্যাক ম্যাজিক করে ধ্বংস করে দিয়েছে বেনা শাদি দল! এ ঘটনাটি "বেনা শাদি ট্রাজেডি" নামে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।
ফুটবল ও ব্ল্যাক ম্যাজিক, সচরাচর এ দুটো শব্দের মধ্যে কোনো সম্পর্ক চোখে পড়েনা। মডার্ন ইউরোপীয় ফুটবলে এসব আসলে হাস্যকরই মনে হবে। কিন্তু আপনি যদি একটু আফ্রিকান ফুটবলে নজর দেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন সেখানে ব্ল্যাক ম্যাজিক, তন্ত্র-মন্ত্র, ডাকিনি বিদ্যা এখনও কতটা জেঁকে বসে আছে!
"Just as every German team has a masseur, every African team has a witchdoctor"
অনেক বছর আগে জার্মান লিগে খেলতে এসে এ মন্তব্য করেন ঘানার ফুটবলার এন্থনি ব্যাফো, যিনি বর্তমানে সেদেশের ফুটবল ফেডারেশনে কর্মরত। উইচ বা উইচডক্টর কথাটার বাংলা অর্থ ডাইনী বা তান্ত্রিক। সহজভাষায় যে অলৌকিক শক্তির অধিকারী। এরা মূলত অলৌকিকতার আশ্রয় নিয়ে কারও ক্ষতিসাধন করে বা করার চেষ্টা করে। আর এ কাজটিই হলো ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদু। ব্যাফোর ওই কথা থেকেই আফ্রিকায় তান্ত্রিকদের প্রাধান্য প্রতীয়মান হয়।
আফ্রিকায় ব্ল্যাক ম্যাজিক প্রায় সব ক্ষেত্রেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। আর এর থাবার বাইরে যেতে পারেনি ফুটবলও।
আফ্রিকান ফুটবলে বিভিন্ন কাজে (?) ব্ল্যাক ম্যাজিক ব্যবহার করা হয়। আফ্রিকান ফুটবলটা আসলে পেশাদারিত্বের ঊর্ধ্বে। সেখানে খেলাটা যুদ্ধ পর্যায়ের ভাবা হয়। সেখানে খেলোয়াড়েরা জয়ের জন্য সবকিছু করতে পারে। আর তারই একটা অংশ তান্ত্রিক ও ব্ল্যাক ম্যাজিকের শরণাপন্ন হওয়া। নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি, বিপক্ষ দলের স্বাভাবিক খেলায় বাধা সৃষ্টি, তাদের ইঞ্জুরিতে ফেলা, বিপদে ফেলা, ক্ষতি সাধন করা থেকে শুরু করে মেরে ফেলারও চেষ্টা করা হয় এই ব্ল্যাক ম্যাজিক ব্যবহার করে। প্রতিপক্ষের ব্ল্যাক ম্যাজিক থেকে রক্ষা পাওয়া ও তাদের ওপর ব্ল্যাক ম্যাজিক করার জন্য বেতন দিয়ে তান্ত্রিক রাখে অনেক আফ্রিকান দল।
এ ব্যাপারে নাইজেরিয়ার এক স্থানীয় গোলরক্ষক একবার সাক্ষাতকারে বলেন, "ব্যাপারটা ভয়ঙ্কর। বিপক্ষ দলের খেলোয়াড় প্রায় ৩০ মিটার দূর থেকে দূর্বল শট নেয়। সেটা আটকানো আমার জন্য কোন ব্যাপার ছিলোনা। কিন্তু শট নেয়ার পরপরই আমি দেখি বল নয়, বরং অনেকগুলো সূচালো বর্শা আমার দিকে ছুটে আসছে। জীবন বাঁচানোর জন্য আমি মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যাই ও জ্ঞান হারাই।" সেদেশেরই এক খেলোয়াড় একবার অভিযোগ করেন খেলার সময় গোলে শট নিতে গেলেই অদ্ভুতভাবে অবশ হয়ে যাচ্ছিলো তার পা।
২০১০ সালে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজন করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিলো আগেরবারের রানার্সআপ ফ্রান্স। সেই ম্যাচে আফ্রিকান দলটি সাহায্য নিয়েছিলো এক তান্ত্রিকের। কোয়ালিফাই করার জন্য তাদের জিততেই হতো, আর হেরে গেলে বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম স্বাগতিক দেশ হিসেবে গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়বে। সবদিক থেকেই পুঁচকে দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে অনেক এগিয়ে ফ্রান্স। পরিষ্কার ফেভারিট তারা।
তাই নিশ্চিত হার এড়াতে এক লক্ষ র্যান্ডের (প্রায় সাড়ে সাত হাজার ডলার) বিনিময়ে এক তান্ত্রিক ভাড়া করে দক্ষিণ আফ্রিকার ফুটবল ফেডারেশন। সেই তান্ত্রিকের নাম ছিলো এসবোনেলা মাদেলো। তান্ত্রিকও তাদের দেয় জয়ের নিশ্চয়তা।
অতঃপর সেই ম্যাচে সব হিসেব নিকেশ বদলে দিয়ে শক্তিশালী ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়লাভ করে স্বাগতিকরা, যেটা কিনা কল্পনা করাও কঠিন। কিন্তু দুর্ভাগ্য স্বাগতিকদের, তারা এলিমিনেটেড হয়ে যায়।
প্রায় এক বছর পর মাদেলো দাবি করে তাকে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার ফেডারেশন। নির্ধারিত অর্থের মাত্র দশ শতাংশ পরিশোধ করেছে তারা। সে এও বলে যে যতক্ষণ পর্যন্ত তার সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করা না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আর কোনো ম্যাচ জিতবেনা দক্ষিণ আফ্রিকা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত আর কোনো ম্যাচে জিততে পারেনি আফ্রিকান দলটি। এরপর মাদেলো কে তার পুরো প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয় ফেডারেশন।
অনেকটা একইরকম ঘটনা ঘটেছিলো ১৯৯২ সালে। সেবার আফ্রিকান কাপের ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে ১১-১০ গোলে জয়লাভ করে আইভরি কোস্ট। তখনই অনেকে মন্তব্য করে, এ জয়ে তান্ত্রিকদের প্রভাব রয়েছে। অতঃপর তান্ত্রিকরা জানায়, ম্যাচের আগে স্বয়ং ক্রীড়ামন্ত্রী তাদের নিয়োগ দেয় এবং বলে যে কাপ জিতলে তাদের টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু জয়ের পর তাদের টাকা দিতে অস্বীকার করা হয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিশাপ দেয়। অদ্ভুতভাবে এরপর বহুবছর আইভরি কোস্ট আর কিছু জিততে পারেনি। প্রায় এক দশক এভাবে চলার পর সেদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নিজে তান্ত্রিকদের কাছে ক্ষমা চান ও তাদের প্রায় ১২০০ ডলার প্রদান করে। এমনকি তাদের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে কাজ করতেও অনুরোধ করেন।
এছাড়া ফুটবলে এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে যা আপনাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করবে যে ফুটবলে ব্ল্যাক ম্যাজিক সত্যিকার অর্থেই বিরাট প্রভাব বিস্তার করে।
আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে খেলতে নামার আগে অনেক সময়ই বেশ কিছু সংস্কার পালন করে খেলোয়াড়রা। আর তারা বিশ্বাস করে এসব করলে তাদের পারফর্মেন্স আরও ভালো হবে। ম্যাচ শুরুর আগে মাঠের চারিদিকে ঘুরা আসা, মাঠে বিড়াল ছেড়ে দেওয়া, কিক অফের পূর্বে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়ের সাথে হ্যান্ডশেক না করা সহ বহু অদ্ভুত কাজ কর্ম করতে দেখা যায় আফ্রিকান দলগুলো কে।
অনেক সময় দেখা যায় কোনো দল মাঠে প্রবেশ না করে বাইরে অপেক্ষা করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতিপক্ষ মাঠে প্রবেশ না করছে, ততক্ষণ তারা প্রবেশ করেনা। অতঃপর প্রতিপক্ষ যে রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করেছে, সে রাস্তা বাদ দিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে তারা প্রবেশ করে মাঠে।
এসব সংস্কার আফ্রিকান ফুটবলে "জুজু" নামে পরিচিত। তারা বিশ্বাস করে, এসব পালন করলে খেলার সময় তারা প্রতিপক্ষের তুলনায় বেশি সুযোগ পাবে, ভালো পারফর্ম করতে পারবে। তারা মনে করে, এসব জুজুই নির্ধারণ করে দেয় কারা ভালো পারফর্ম করবে, কারা হারবে, কারা জিতবে।
আফ্রিকায় সবজায়গাতেই অসংখ্য জুজুম্যান বা তান্ত্রিক দেখতে পাওয়া যায়, যাদের থেকে বিভিন্ন দল ও খেলোয়াড় সাহায্য নেয়। অনেক বিখ্যাত ফুটবলারের জীবনে এসব জুজু ও জুজুম্যানের প্রভাব দেখা যায়।
যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত সংবাদপত্র "দ্য সান" এর ইনভেস্টিগেশনে জানা যায়, প্রিমিয়ার লিগের অনেক বিখ্যাত ফুটবলার প্রায় নয় হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পশ্চিম আফ্রিকায় এসব জুজুম্যানের অলৌকিক শক্তির সাহায্য নিতে যায়। তারা বিশ্বাস করে এসব তাদের দক্ষতা বাড়াবে ও ইঞ্জুরির ঝুঁকি কমাবে।
একবার এক প্রিমিয়ার লিগ তারকার স্ত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায় যে তার স্বামী আইভরি কোস্টের এক তান্ত্রিককে প্রতি মাসে এক হাজার পাউন্ড করে দেন যেন সে ভালো পারফর্ম করতে পারে। তিনি আরও জানান, তার স্বামী পবিত্রতা অর্জনের জন্য প্রায়ই দেশে আসেন ও মাঝে মাঝেই রিচুয়্যাল পালন করেন। এ রিচুয়্যালে একটি নিখুঁত সাদা ছাগল বা ভেড়া বা মুরগি বলি দেওয়া হয় ও অতঃপর আরও বেশ কিছু বিধি বিধান পালন করা হয়।
নাইজেরিয়ান ফুটবলার তারিবো ওয়েস্ট স্পষ্ট ভাবে স্বীকার করেন তিনি তান্ত্রিকের সাহায্য নেন। তিনি বলেন, "হ্যা, অবশ্যই। আমি বুঝিনা কেন অনেকে এটা স্বীকার করতে চায়না। মাঝে মাঝে এটি কাজ করে, মাঝে মাঝে করেনা। আপনি যদি বিশ্বাস করেন, তাহলে এটি কাজ করবে।"
ম্যানচেস্টার সিটি ও টটেনহ্যামের সাবেক ফরওয়ার্ড এমানুয়েল আদেবায়োর একবার দাবী করেন, তার ক্যারিয়ার ধ্বংসের জন্য দায়ী তার মা। সে তার ওপর ব্ল্যাক ম্যাজিক করেছে। ঘানার আরেক কিংবদন্তী মাইকেল এসিয়েন জানান তার ওপর তার বাবা ব্ল্যাক ম্যাজিক করেছে।
আইভরিকোস্টের সাবেক তারকা গ্র্যাডেল ২০১৩ সালে এক মারাত্মক ইঞ্জুরিতে পড়েন। পুরো এক মৌসুম তাকে মাঠের বাইরে কাটাতে হয়। এ ইঞ্জুরির জন্য তিনি দায়ী করেন তার বোন ডেবরাহ কে। ডেবরাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, "আমাদের ফেলে চলে যাওয়ার জন্য এটা হচ্ছে তার শাস্তি।" আইভরিকোস্টের জাতীয় সংবাদপত্রেও এ ব্যাপারে সংবাদ ছাপা হয়।
কিংবদন্তি ফুটবলার দিদিয়ের ড্রগবা একবার বলেছিলেন, তার সাবেক সতীর্থ জ্যঁ-জ্যাক তিজি খেলতে নামার আগে খারাপ আত্মার প্রভাব দূর করার জন্য বেশ কিছু রিচুয়্যাল পালন করতেন।
একবার বেনিনে মারাবুত দেগলা নামে এক জুজুম্যানের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। সে দাবী করে যে অনেক বিখ্যাত খেলোয়াড়কে কে সে দলের ও বিশ্বের সেরা তারকা ও টপ স্কোরার বানিয়ে দিয়েছে। জানা যায় যে, দেগলার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পারাকু শহরের কাছে একটি গোপন জঙ্গলে "ত্রুপকেকা মিলিকা" নামের একটি রিচুয়্যাল করা হয়, যেখানে খরচ হয় প্রায় ৪৬০ পাউন্ড।
দেগলা জানায় তার রিচুয়্যালের নবম দিনে সেই খেলোয়াড় কোনো মহিলার সাথে শুতে পারবেনা ও একদম সাদা কাপড় দিয়ে শরীর ঢেকে শুতে হবে। সে আরও বলে, সে একটি জাদুর আঙটি ব্যবহার করে, যা ম্যাচে সেই খেলোয়াড়কে ভালো পারফর্মেন্স ও প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করতে সাহায্য করে।
শুধু আফ্রিকায় নয়, ইউরোপেরও বহু কিংবদন্তি ফুটবলার অনেক অদ্ভুতুড়ে সংস্কার পালন করেন। বহু বিখ্যাত ফুটবলার কোনো বুট পড়ে গোল পেলে বারবার সেই বুটই ব্যবহার করেন, এবং বিশ্বাস করেন সেটা তার জন্য লাকি। চেলসি কিংবদন্তি জন টেরি টিমের বাসে সবসময় একই সিটে বসতেন। রেড ডেভিল লিজেন্ড গ্যারি নেভিল কোনো ম্যাচে তার দল জয়লাভ করলে ম্যাচ শেষে সবসময় একই পোশাক পড়তেন ও একই আফটারশেভ ব্যবহার করতেন। আর ১৯৯৮ বিশ্বকাপে সব ম্যাচের আগে ফাবিয়েন বার্থেজের মাথায় লরা ব্লাঁর সেই চুমু তো বিখ্যাতই হয়ে আছে।
এসব রিচুয়্যাল গুলো আসলেও কাজ করে কিনা, তা এখনও রহস্যই হয়ে আছে, চিরকাল হয়তো রহস্যই হয়ে থাকবে, ঠিক যেমনভাবে বিরাট এক রহস্য ফুটবলে ব্ল্যাক ম্যাজিকের প্রভাব।
- 0 মন্তব্য