এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা: আগামীর বিশ্বতারকা!
পোস্টটি ২৩৫০ বার পঠিত হয়েছে
সতের-আটারো বছর বয়সে আমরা কী বা করেছি! কিন্তু, এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা নামের এক কিশোরকে দেখেন।তাঁর বয়সও মাত্র সতের!পারফরমেন্স দিয়ে পুরো ফুটবল বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছেন। তাকেঁ মনে করা হচ্ছে আগামীর বিশ্বতারকা।
জন্ম অ্যাঙ্গোলার শরণার্থী শিবিরে। ২০০২ সালে। তাঁর বয়স যখন মাত্র দুই বছর, তখন তাঁর পরিবার ফ্রান্সে পাড়ি জমান। সেখানেই তাঁর বেড়ে উঠা। এদুয়ার্দোর পিতামাতা কঙ্গোর নাগরিক। পাঁচ ভাইবোন তার। এদুয়ার্দোর ছোটবেলায় জুডোর প্রতি ঝোঁক ছিল। পরে তিনি ফুটবলের প্রতি মনোনিবেশ করেন।এই ফুটবলের কারণে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন গোটা বিশ্বে। ফুটবল তাঁকে দিয়েছে দুইহাত ভরে! অ্যাঙ্গোলা শিবিরে জন্ম নেয়া ছোট্ট শিশুটা কি ভেবেছিল, গোটা ফুটবল বিশ্বে তাকে নিয়ে এতো মাতামাতি হবে?
খেলেন রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে।তাকে ডাকা হয় 'নতুন পগবা' বলে। সে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ট্যাকল করে বল কেড়ে নিতে যেমন পারদর্শী তেমনি ড্রিবল করতে, ছোট ছোট পাসে আক্রমণ তৈরি করতেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার।ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি ফরাসি ক্লাব রেঁনের বয়সভিত্তিক দলগুলাতে খেলেছেন। বর্তমানে রেঁনের সিনিয়র টিমের মিডফিল্ড সামলাচ্ছেন তিনি। লীগ ওয়ানে ভালোই আলো ছড়াচ্ছেন। ৬ ম্যাচে ১ গোল ১ অ্যাসিস্ট করে সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন। তাই তো ইউরোপের বাঘা বাঘা ক্লাব গুলা তাঁকে দলে ভেড়াতে মরিয়া। বরুশিয়া তো ৫০ মিলিয়নে তাঁকে দলে চাইছে। কিন্তু, রেঁনে ১০০ মিলিয়নের কমে তাকে ছাড়তে রাজি না! ফ্রান্সের অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলেছেন। দিন কয়েক আগে ইউক্রেনের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকও হয়ে গেল। গোল করেছেন। একটা রেকর্ডও করেছেন। ফ্রান্সের জার্সিতে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা এখন এদুয়ার্দো। এতো অল্প সময়ে এতো কিছু ঘটবে, নিজেও হয়তো ভাবেন নাই কামাভিঙ্গা।
এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার প্রতিভা নিয়ে সংশয় নেই। তাঁর মতো অনেক প্রতিভাবান প্লেয়ার এসেছেন। কেউ পারফরমেন্স দিয়ে সেরা হয়েছেন। আবার কেউ বাজে ফর্মের কারণে হারিয়ে গেছেন।কেউ বা ইনজুরিতে পড়ে। তাদের দলে যেন কামাভিঙ্গার নামও যোগ না হয়। তিনি যেন হতে পারেন আগামীর তারকা। সেই প্রত্যাশা।
- 0 মন্তব্য