হতে পারতো ডেনিশ রূপকথা!
পোস্টটি ১২৪৩ বার পঠিত হয়েছেবলতে গেলে ১০৩ মিনিট পর্যন্ত জয়ের একটা ক্ষীন আশা ডেনিশ দূর্গে ছিলো। ঠিক তখন, শান্ত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকা হ্যারি কেইন ঠান্ডা মাথায় গোলবার বরাবর একবার তাকিয়ে নিলেন। আলতো হেঁটে ডান দিকে কিক নিলেন। ওই পাশটায় ডেনিশ কিংবদন্তি পিটার স্মেইকেলের পুত্র ক্যাসপার স্মেইলেক ঝাঁপিয়ে পড়লেন বলে। সেকেন্ডের জন্য সব যেন থমকে দাঁড়ালো। কেইনের পেনাল্টি ফিরিয়ে দিলেন স্মেইলেক। কিন্তু ভাগ্যে তার ততোটাও ভালো না; ফিরতে বলে কেইনের পা ঠিকই দেখা পেলো জালের। গোল!
আবারো হতে পারতো ডেনিশ কাব্যগাঁথা! আবারো হতে পারতো ইতিহাস। ১৯৯২ সালের কথা মনে পড়ে? গুটেনবার্গে সেবার ডেনিশ সৈন্যরা জার্মানদের উড়িয়ে দিয়েছিলো হাজার চল্লিশেক মানুষের সামনে! জার্মানিকে হারিয়ে কিভাবে যেন শিরোপাটা ডেনমার্কের হাতে উঠলো! নতুন এক কাব্যগাঁথা লিখেছিলো ডেনিশরা সেবার।
২০২১ সালে ফিরে আসি।
গ্রুপ স্টেজ কি সেমিফাইনালের মঞ্চ! প্রত্যেকটি ম্যাচেই কি দারুণ খেলা উপহার দিয়েছে ডেনমার্ক। তাদের এক যোদ্ধা এরিকসনের হঠাৎ মাঠে লুটিয়ে পড়া, তারপর বিশ্ব মিডিয়ায় তাকে নিয়ে কত কথা লিখা হয়ে গেলো! বিশ্বব্যাপী এরিকসন সবার সহানুভূতি পেয়েছেন এটা বলাই বাহুল্য। তবে এক এরিকসনে থেকে ছিলোনা ডেনিশরা। নিজেদের উজাড় করেই দিয়েছে পুরো আসরে।
স্মেইকেল পুত্রের মাহাত্ম্যর কথা এ আর নতুন কি! বাবার মতোই একজন দারুণ গোলকিপার। পুরো টুর্নামেন্টে তার পার্ফমেন্স চোখে লাগার মতো ছিলো। তবে আমি বাকি ১০ টা প্লেয়ারের জয়গান গাইতে একটুও দ্বিধাবোধ করবো না। প্রত্যেকে সেরাটা দিয়েছে।
সেমিফাইনালের মঞ্চে ইংল্যান্ডের সাথে ভালোই পাল্লা দিয়েছে ডেনিশরা। অতিরিক্ত সময়ের ওই পেনাল্টি'টা না পেলে ইংল্যান্ড বরং বিপদেই পড়ে যেতো। ট্রাইবেকারে গড়াতো ম্যাচ! সেসব কথা থাক। আমি বরং ডেনিশ রুপকথাতেই মুগ্ধ থাকি।
ইংল্যান্ড যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনালে গেছে। তবে একটা কথা- ডেনিশরা শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছে। হোক না কাব্য রচনা; ইতিহাস তো তাদের পক্ষেই থাকবে একদিন! তবে আফসোসের জায়গাও কম নয়। এতদুর এসেও...।
হতে পারতো ডেনিশ রূপকথা।।
- 0 মন্তব্য