• ফুটবল

সুপার সাবস্টিটিউটের একাল সেকাল!

পোস্টটি ১৭০১ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

র‍্যোজেনবার্গের এক তপ্ত বিকেলে বিশালাকার ফুটবল মাঠের একপাশ'টায় বেজায় অসুখী ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছেন এক ভদ্রলোক। পেশায় যিনি স্থানীয় ফুটবল দলের কোচ। তার মন খারাপের কারণ ছেলেদের শ্রীহীন ফুটবল; তাই বলে এতোটাও খারাপ? প্রথমার্ধ না পেরুতেই ৫-০ গোল খেয়ে বসে থাকবে তার দল, সেটা তিনি আগে হয়তো ভাবতেও পারেন নি।

 

খানিক পরে হাতের ইশারায় তার চৌকস, কিন্তু ব্যর্থ স্টাইকারকে নামিয়ে নিলেন। বিপরীতে যাকে মাঠে দেখা গেলো, আর যাইহোক সে কোনো জাদুকর না। কিন্তু, হালকা-পাতলা গড়নের এই ছেলেটাই একের পর এক গোল করে তাজ্জব বানিয়ে দিচ্ছিলো উপস্থিত সবাইকে! ৫-০ গোলে হারতে থাকা সে ম্যাচ ৮-৫ গোলে জিতেছিলেন মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে থাকা সে কোচ! আর সবকটা গোল-ই এসেছিলো সাবস্টিটিউট হওয়া প্লেয়ারের পা থেকে! যাকে বিশ্ববাসী পরে চিনেছে জ্বালাতান ইব্রাহিমোভীচ নামে। 

 

আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বপ্রথম সাবস্টিটিউট করা হয় ১৮৮৯ সালের ১৫ এপ্রিলে ওয়েলস বনাম স্কটল্যান্ডের ম্যাচে। মজার ব্যাপার হলো ওয়েলসের আসল গোলকিপার 'টিম টেইনার' মাঠে আসতে বিলম্ব করায় সেদিন গোলপোস্টের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় স্থানীয় অপেশাদার এক ফুটবলারের উপর। ম্যাচ শুরুর ২০ মিনিট পর টিম মাঠে উপস্থিত হলে সে ফুটবলারকে নামিয়ে তাকে পাঠানো হয় গোলপোস্টে, আর সেটিই হয়ে যায় ইতিহাসের সর্বপ্রথম সাবস্টিটিউট! 

 

সুপার সাবস্টিটিউট এর কথা উঠলেই আমার চোখে সর্বপ্রথম যে দৃশ্যটি ভেসে উঠে সেটি নিকোলাস ব্রেন্ডনারের গোল। টটেনহ্যামের বিপক্ষে লীগ ম্যাচে ৭৬ মিনিটে তাকে মাঠে নামান আর্সেন ওয়েঙ্গার। আর্সেনাল কর্ণার কিক পায় তখন। বেন্ডনার নামলেন, দৌড়ে বক্সে ঢুকতে আর উঠে আসা কর্নার কিকে মাথা লাগাতে সময় নিলেন মাত্র ৬ সেকেন্ড সময়। ব্যস! আর তাতেই এই ডেনিশ স্ট্রাইকার বনে গেলেন প্রিমিয়ার লীগ ইতিহাসের সাবস্টিটিউট হিসেবে দ্রুততম সময়ের গোলদাতা! 

 

লার্স রিকেন'কে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড সমর্থকরা সারাজীবন মনে রাখার-ই কথা। ক্লাবের হয়ে শ'তিনেক ম্যাচ, তিনটি জার্মান লীগ শিরোপা আর দুই জার্মান সুপার কাপ জয়ী এই ফুটবলার দু'হাত ভরে দিয়েছেন দলকে। তবু ১৯৯৭ এর চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনাল যেন তার ১৮ বছর বয়সী জীবনের পুরোটা বদলে দিলো এক পলকে! জুভেন্তাসের বিপক্ষে সেদিন চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে বেঞ্চ থেকে নেমে যে দুর্দান্ত গোল'টি রিকেন করেছিলেন, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। 

কার্ল-হেইঞ্জ রাইডেলের জোড়া গোলে ম্যাচে ইতিমধ্যে ২-০ তে এগিয়ে থাকা বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের জালে 'ডেল পিয়েরো'র গোল ছিল জুভেন্তাসের জন্য ম্যাচে ফেয়ার আশ্বাস। ম্যাচের ৭০ মিনিট পর্যন্ত বেঞ্চে বসে কাটালেন লার্স লিকেন। আর চোখে চোখে রাখলেন জুভেন্তাস গোলকিপার এঞ্জেলো পেরুজ্জিকে! লিকেন খেয়াল করলেন পেরুজ্জি গোলবারের অনেক'টাই দূরে দাঁড়িয়ে থাকেন সবসময়। রিকেন সেই সময়ের রোমন্থন করেন, 'আমি খেয়াল করছিলাম পেরুজ্জি কিভাবে অনেকটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকে। মাঠে নামার পর আমার মাথায় শুরু একটা কথাই বারবার মনে হচ্ছিলো, 'পেরুজ্জি গোলপোস্ট থেকে অনেক দূরে, পেরুজ্জি গোলপোস্ট থেকে অনেক দূরে'। 

 

লিকেন মাঠে নামার মাত্র ১৬ সেকেন্ড পার হয়েছে। এরই মধ্যে আন্দ্রেস মুলার লম্বা করে থ্রু-বল ছাড়লেন লিকেনকে উদ্দেশ্যে করে। কোনো মার্কিং ছাড়া দাঁড়িয়ে থাকা লিকেন বলটা নিয়ন্ত্রন করে ছুটে চললেন হিংস্র গতিতে; তখনো অন্তত ৩০ গজ দূরে! লিকেন আবারো ভাবলেন- পেরুজ্জি গোলপোস্ট থেকে অনেক দূরে; যেই ভাবা সেই কাজ। বলটা কিক নিলেন সেই ৩০ গজ দূরে থেকেই। ব্যস! পেরুজ্জি দাঁড়িয়ে রইলেন হতবাক হয়ে। হাজার হাজার সমর্থক উল্লাসে মেতে উঠলো পুরো স্টেডিয়ামে। ১৬ সেকেন্ডের লিকেন তান্ডবে ভেসে গেলো তুরিণের বুড়িদের ডিফেন্স যজ্ঞ! পেরুজ্জিকে বোকা বানিয়ে জাল খুঁজে পেলো লিকেনের ছোড়ে দেয়া বল। গোল! এক সুপার সাবস্টিটিউটের কাব্যগাঁথা লিখে ফেলা হলো বার্লিনের ওলিম্পিয়াস্টোডেনে। 

 

এইসব সুপার সাবস্টিউটের ভীড়ে যে কয়টি সাবস্টিটিউট একালের ফুটবল ইতিহাস পালটে ফেলার সক্ষমতা রাখে, সেসব নিয়ে আলাপ করা যাক। 

 

২০১৭/১৮ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালের স্টার্টিং ইলেভেন থেকে বাদ পড়েন গ্যারেথ বেল। তার বদলে ইস্কোকে খেলান জিনেদিন জিদান। ম্যাচের বয়স তখন ৬০ মিনিট পেরিয়েছে, ইস্কোর পরিবর্তে গ্যারেথ বেলকে ডেকে নিলেন জিদান। কে জানতো সেদিনের এই সাবস্টিটিউট প্লেয়ার চ্যাম্পিয়নস লীগ ইতিহাসের অন্যতম 'ফাইনেস্ট' গোল করে বসবেন! আর লিভারপুলের বিপক্ষে কিয়েভে সে গোল করতে বেল সময় নিলেন মাত্র ৩ মিনিট সময়! এবস্যুলেটলি মাষ্টারক্লাস পারফরমেন্স!

 

লিভারপুল প্রসঙ্গ যখন উঠলো তখন অলরেডদের একজন সুপার সাবস্টিটিউটের কথা বলা যাক। ২০১৯ চ্যাম্পিয়নস লীগ সেমিফাইনালের সেকেন্ড লেগে বার্সালোনার বিপক্ষে অতিমানবীয় পারফরমেন্স করে বিশ্ব মিডিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন জর্জিনিয়ো উইনালডম। ক্লপ শিষ্যরা এনফিল্ডে ফিরেছিলো ৩-০ গোলে হারার ব্যথিত স্মৃতি নিয়ে। ২য় লেগের আগে আলেক্সান্ডার আর্নোল্ড জানালেন, 'সত্য যেটা, বার্সার বিপক্ষে আমাদের জয়ের আশা খুবই ক্ষীণ। তবু আমরা ফাইট দিতে প্রস্তুত।' সেই আর্নোল্ডের এসিস্টেই সাবস্টিটিউট হিসেবে নেমে বার্সার বিপক্ষে ১ম গোল করে ম্যাচটা বাঁচিয়ে রাখলেন উইনাল্ডম। তারো মিনিট দুইয়েক পর, মুহুর্মুহু আক্রমন চালাচ্ছিলো লিভারপুল। শাকিরির ক্রসে এবার উড়ে এসে হেড বসালেন ডাচম্যান! স্টেগান বল ধরার কোনো অপশনই খুঁজে পেলেন না! এবারো উইনাল্ডোম! বিটি স্পোর্টের ভাষ্যকার তো এই মূহুর্তে কেঁদেই ফেললেন! চিৎকার দিয়ে বলতে লাগলেন- ওওওও ঈটস থ্রি! লিভারপুল আর ব্যাক ইন ম্যাচ। জিনি উইনালন্ডম, দ্যা চ্যাম্পিয়নস লীগ হিরো!

 

চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনাল প্রসঙ্গ উঠলেই আমার কেবল ভাবতে ইচ্ছে করে ১৯৯৯ চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালের কথা। হোয়াট আ ম্যাচ দ্যাট ওয়াজ!  সেবার ফাইনালে মুখোমুখী হয়েছিলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও বায়ার্ন মিউনিখ। স্যার আলেক্স ফারেগুসনের দলে তারকার অভাব ছিল না, ওদিকে বায়ার্নও ছিল শক্ত প্রতিপক্ষ। ফ্রিকিক থেকে দারুণ এক গোল করে ১-০ এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ম্যাচে আরোও অন্তত ৪-৫ টা গোল তারা দিতে পারতো, কখনোও বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন পিটার স্মেইকেল আবার কখনো গোলপোস্ট। ম্যাচের সময় যত শেষ হয়ে আসছিলো, আর ট্রেবল জয় থেকে দূরে ততই দূরে সরে যাচ্ছিলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

 

ম্যাচের বাকি ২৩ মিনিট, স্যার ফার্গুসন ঠিক তখনি উইঙ্গার জ্যাস্পার ব্লম্পকুইস্টকে নামিয়ে মাঠে তুললেন টেডি শ্যারিংহ্যামকে। খেলার অবস্থায় পরিবর্তন না আসায় ১৪ মিনিট পরে এন্ডি কুলের পরিবর্তে মাঠে নামালেন ওলে গানার সোলশ্যায়ারকে। পিটার একদিকে একের পর এক আক্রমণ সামলাচ্ছিলেন, অপরদিকে ম্যানচেস্টার গোলের জন্য মরিয়ে হয়ে উঠছিলো। ঠিক সে সময়, ম্যাচের অতিরিক্ত সময় চলছিলো। হঠ্যাৎ একটি কর্নার পায় রেড ডেভিলরা। আর বল আসে রায়ান গিগসের পায়ে, কিন্তু তার শট জোরালো না হওয়ায় তা খুঁজে পায় টেডি শ্যারিংহ্যামের পা! আর শ্যারিংহ্যাম সেকেন্ড না যেতেই বল ঢুকিয়ে দিলেন জালে! গোল! উল্লাসে ফেলে পড়লো ক্যাম্প ন্যু! আনন্দে উচ্ছ্বসিত হলেন স্যার আলেক্স। 

 

দু'মিনিট পর আবারো কর্নার লাভ করে ম্যানচেস্টার। কর্নার নিতে আসেন ডেভিড ব্যকহাম। বল ডেলিভার করেন একদম বক্সে, শ্যারিংহ্যাম ভালো মতে টাচ লাগাতে পারলেন না। বল বেরিয়ে যাচ্ছিলো বক্স থেকে। কিন্তু গোলবারের অন্ত প্রান্তে থাকা ওলে গানার সোলশায়ারের পা চিনতে ভুল করলো না। বল সোজা ঢুকে গেলো জালে! আবারো গোল! আবারো সুপার সাবস্টিটিউট থেকে গোল!  

 

একালের সুপার সাবস্টিটিউটের খুব সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হলে সবার উপরে যে নামটি চলে আসবে সেটি মারিও গোৎজের নাম। জার্মান বিশ্বকাপ জয়ী এই ফুটবলার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে বেঞ্চে বসে দেখেছেন মোটামুটি ৯০% অংশ! বাকি ১০% বোধহয় জোয়াখিম লো মজুদ করে রেখেছিলেন গোৎজে ম্যাজিকের অপেক্ষায়। ০-০ গোলে চলতে থাকা ম্যাচ মিনিট সাতেক পর বন্ধ হয়ে গেলে কিভাবে টাইবেকারের স্ট্রাটেজি সাজাবেন এই চিন্তায় মগ্ন থাকার কথা আলেসান্দ্রো সাবেকা ও জোয়াকিম ল'র‍! গোৎজে ৮৮ মিনিটে মিরোস্লাভ ক্লোজার পরিবর্তে মাঠে নামেন সুপার সাবস্টিটিউট হিসেবে। ১১৩ মিনিটে আর্জেন্টিনার ডিফেন্ড দুর্গ ভেঙ্গে ম্যাচের একমাত্র গোল করে জার্মানিকে এনে দেন বিশ্বকাপ শিরোপা! 

 

লেখার শুরু করেছিলাম ইব্রাহিমোভীচ দিয়ে, শেষটাও করতে চাই তাকে দিয়ে। 

 

তখন ইব্রা সদ্য যোগ দিয়েছেন আমেরিকান মেজর লীগ সকারের দল 'লস এঞ্জেলস গ্যালাক্সি'তে। ৩৬ বছর বয়েসী এই সুইডিশ স্ট্রাইকারের সাথে ২ বছরের চুক্তির সমঝোতায় রাজি হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও 'এলএ গ্যালাক্সি'। মিডিয়াকে ইব্রা বললেন, 'আমি এলএ গ্যালাক্সির সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ আমার মনে হয়েছে এটাই এখন আমার জন্য উপযুক্ত জায়গা।' 

 

ইব্রা অপেক্ষায় ছিলেন তার অভিষেকের। লা গ্যালাক্সিয়ান ভক্তরা অপেক্ষায় ছিল ইব্রার রাজসিক অভিষেক পর্বটা নিজ চোখে উপভোগ করার। সব অভিষেক তো আর রাজসিক হয় না; তবে জ্বালাতান বলে কথা! ম্যাচের তখন ৭০ মিনিটের মতো অতিবাহিত হয়েছে। জ্বলাতানের দল ৩-১ গোলে পিছিয়ে আছে। খেলার ভঙ্গিমা দেখে বুঝার উপার নেই এই ম্যাচই এলএ গ্যালাক্সি জিততে চায়। ইব্রা বেঞ্চে বসে বসে ৩ গোল হজম করা দেখলেন। তখনো তাকে মাঠে নামানো হয়নি, পুরো স্টেডিয়াম 'আমরা জ্বলাতানকে চাই, আমরা জ্বলাতানকে চাই'- বলে স্লোগান করছে। যখন তাকে মাঠে নামানো হলো, তখন হয়তো কোচ নিজেও ভাবতে পারেন নি ইব্রা কোনো মিরাকল দেখাবেন। কিন্তু কিছু একটা স্পেশাল তো হতে যাচ্ছিলো!

 

মিনিট ছয়েক পর ডি-বক্সের অনেকটা বাহিরে থেকে অ্যাশলে কুল হেড দিয় প্রতিপক্ষের বল ক্লিয়ার করলেন, সেটা তাদের এক প্লেয়ার রিসিভ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এক পলকে নিজের পায়ে নিয়ে দখল করে নিলেন ইব্রা। তারপর অত্যন্ত ৪০ গজ দূর থেকে জোড়ালো কিক নিলেন! বুম! গোল! উল্লাসে মাতোয়ারা হয়ে গেলো পুরো স্টেডিয়াম। ততক্ষণে আরোও একটি গোল পরিশোধ করায় এলএ গ্যালাক্সি ৩-৩ গোলে সমতায়। ইব্রার ম্যাজিক তখনো বাকি ছিলো। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ডিবক্সে হেড থেকে করলেন আরেকটি গোল! ৩-০ তে হারতে থাকা দল ম্যাচ জিতলো ৪-৩ গোলের ব্যবধানে! আর শেষ দুই গোলই এলো সুপার সাবস্টিটিউট হয়ে মাঠে নামা জ্বলাতান ইব্রাহিমোভীচের পা থেকে! সাবস্টিটিউটগুলো মাঝে মাঝে এমন দারুণই হয়। 

 

- আহমদ আতিকুজ্জামান।