• ফুটবল

বায়ার্নকে হারাতে বার্সেলোনার ট্যাক্টিক্স কেমন হওয়া উচিত? (পর্ব ১)

পোস্টটি ৭৯০ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

ক্যাম্প ন্যুতে কোচ হিসেবে জাভির প্রত্যাবর্তন প্রতিটি বার্সেলোনা ফুটবল ফ্যানের জন্যই প্রবল আকাঙ্খিত ছিল। কিন্তু ডাগআউটে কেবল জাভির উপস্থিতিই যে বার্সেলোনার যাবতীয় সব সমস্যার অবসান ঘটাতে পারবে না, সেটা নিশ্চয়ই এতোদিনে সবার বোঝা হয়ে যাওয়ার কথা। জাভির আন্ডারে বার্সেলোনা এখন পর্যন্ত বেশ ভালোই করছে, লিগে দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে, সর্বশেষ ম্যাচে ভিয়ারিয়ালকে হারিয়ে এই সিজনে প্রথমবারের মতো এওয়ে ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছে৷ কিন্তু চ্যাম্পিয়ান্স লিগের গ্রুপপর্বের নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে ন্যু ক্যাম্পেই আটকে গেছে বেনফিকার কাছে, বেনফিকার সাথে ০-০ গোলে ড্রয়ে  চ্যাম্পিয়ান্স লিগের গ্রুবপর্ব থেকে আউট হয়ে ২০০৩/০৪ সালের পর আবারো ইউরোপা লিগে খেলার শঙ্কা তৈরী হয়েছে।

 

ইউরোপা লিগে খেলা এড়াতে হলে বার্সেলোনাকে বেশ কঠিন সমীকরণ পাড়ি দিতে হবে, আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে উড়তে থাকা বায়ার্ন মিউনিখকে হারাতে হবে, অথবা বেনফিকাকে নিজেদের মাঠে ডায়নামো কিয়েভের বিপক্ষে পয়েন্ট হারাতে হবে। এই ভঙ্গুর বার্সেলোনাকে নিয়ে বায়ার্নের মাঠ থেকে জিতে আসার স্বপ্ন দেখাটা জাভির পক্ষে নিঃসন্দেহে বেশ কঠিন টাস্ক। বায়ার্ন মিউনিখ গত ২-৩ সিজন ধরেই ইউরোপের অপ্রতিরোধ্য দলগুলোর একটি। হান্সি ফ্লিকের বিদায়ের পর নাগেলম্যানের অধীনেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে দুর্দান্তভাবেই, এই সিজনে এখন পর্যন্ত আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে বায়ার্ন কেবল মাত্র একটি ম্যাচেই হেরেছে, ফ্রাঙ্কফুটের বিপক্ষে।

 

কোম্যানের অধীনে ধুকতে থাকা বার্সেলোনাকে দায়িত্ব নেওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ বদলে দিয়েছে জাভি। প্লেয়ারদের পজিশনিং অনেক অর্গানাইজড হয়েছে, আগের চেয়ে অনেক বেশি চান্স ক্রিয়েট হচ্ছে,  ডিফেন্সিভ অর্গানাইজেশন ভালো হওয়াতে গোল খাওয়ার হারও কমেছে উলেখযোগ্যভাবে। কিন্তু দলে স্পেসিফিক টার্গেট ম্যান না থাকা এবং ফাইনাল থার্ডে প্রেডিক্টেড মুভমেন্টের কারণে স্কোরিংয়ে বেশ ভূগতে হচ্ছে,  টানা হাই ইন্টেন্সিটিতে খেলার কারণে প্লেয়াররা ফুল ম্যাচ স্ট্যামিনা ধরে রাখতে পারছে না, যেকারণে মাঝেমধ্যেই অপনেন্টের হাতে পুরো ম্যাচের কন্ট্রোল চলে যাচ্ছে।

 

আজকে আমরা দুইদলের পসিবল প্লেস্টাইল এবং কোন ট্যাক্টিক্স অবলম্বন করে বার্সেলোনা বায়ার্নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান্স লিগের পরবর্তী রাউন্ডে যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করবো।

 

 

 

জাভির আন্ডারে বার্সেলোনাকে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে খেলতে নামলেও অনফিল্ডে ৩-৪-৩ ফর্মেশনে পরিবর্তিত হচ্ছে। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ব্যাথ থ্রিতে আরাউহো-পিকে-গার্সিয়া ট্রায়োকে দেখতে পাবার সম্ভাবনা বেশি৷ মিডফিল্ডে জাভি দুটি ভিন্ন লাইন ক্রিয়েট করছেন, নিচের লাইনে ডাবল পিভট রোলে বুসকেটস এবং নিকোর খেলার সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে আরেকটু এডভান্সড পজিশনে দুই ইনসাইড মিডফিল্ডার রোলে খেলবে ডি ইয়ং এবং গাবি। দুই উইংয়ে  খেলবে ডেম্বেলে এবং আলবা, তাদের সামনে একমাত্র স্ট্রাইকার হিসেবে খেলবে মেম্ফিস ডিপাই। 

 

অন্যদিকে, নাগেলসম্যানের অধীনে বায়ার্নকে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনেই বেশি দেখা যাচ্ছে৷ বার্সেলোনার বিপক্ষে ব্যাকলাইনে থাকতে পারে পাভার্ড, উপামেকানো, ডেভিস এবং লুকাস/শুলের মধ্যে যেকোন একজন৷ মিডফিল্ডে ডাবল পিভট রোলে গোরেজকা এবং তোলিসো থাকার সম্ভাবনাই বেশি, কিমিচ হয়তো কোভিড থেকে রিকোভারি করে ফেলবে, কিন্তু ম্যাচ ফিটনেসের অভাবে তার বেঞ্চে থাকার সম্ভাবনাই বেশি থাকবে। ফ্রন্টলাইনে খেলবে গ্যানাব্রি, মুলার, সানে এবং তাদের সামনে লোন স্ট্রাইকার রোলে খেলবে লেভানডোস্কি।

 

 

ইউরোপীয়ান ফুটবলে অফেন্সিভলি এক্সট্রিম লেভেলের ডমিনেট করা ক্লাবগুলোর মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখ অন্যতম। যেকোন টিমের জন্যই বায়ার্ন অফেন্সিভলি অনেক বেশি থ্রেটেনিং, এজন্য বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে হলে বার্সেলোনাকে গোল করার আগে বায়ার্নের আক্রমণভাগকে নিষ্ক্রিয় করে রাখার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

 

বায়ার্নের অফেন্সিভ প্লে অনেকটাই ইন বিটুইন দ্যা লাইনের ফ্রি স্পেস ডিপেন্ডেন্ট। ব্যাক থেকে বিল্ডআপের সময় সাধারণত কিমিচ তার লাইন থেকে কিছুটা নিচে ড্রপ করে অপনেন্টের ফরোয়ার্ড এবং মিডফিল্ড লাইনের মধ্যবর্তী ফ্রি স্পেসে অপারেট করে বল প্রোগ্রেস করতে চেষ্টা করে, কিমিচের অনুপস্থিতে যে রোলে ইদানিং গোরেজকাকে খেলতে দেখা যাচ্ছে, বল ডিস্ট্রিবিউশনে গোরেজকা বেশ স্ট্রং হওয়ায় অপনেন্টের হাই প্রেসের মধ্যেও সে বেশ ভালোভাবেই বল প্রোগ্রেস করতে পারছে।



বায়ার্নের দুই সেন্টারব্যাক উপামেকানো এবং লুকাস হার্নান্দেজ দুজনই বল পায়ে বেশ স্ট্রং। যেকারণে অপনেন্ট সেন্টার পিচে ওভারক্রউডেড করে সেন্টার এরিয়ায় প্রেস করলে তারা সাধারণত উইং এরিয়ায় ডায়াগনাল লং বল খেলে বল প্রোগ্রেস করে। এক্ষেত্রে বড় সুবিধা হচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখের রাইটব্যাক পাভার্ড হাই লাইনে মুভ করার পরিবর্তে সাধারণত দুই সেন্টারব্যাকের সাথে পজিশন হোল্ড করে ব্যাক থ্রি ক্রিয়েট করে, এজন্য অপনেন্টের পক্ষে বায়ার্নের ব্যাক থ্রিকে আউটনাম্বার্ড করা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে।

 

তবে, মিডফিল্ডে ওভারলোড তৈরী করার জন্য মাঝেমধ্যে পাভার্ড মিডফিল্ডে মুভ করে, তখন মিডফিল্ডে বাড়তি পাসিং অপশন তৈরী হওয়ায় বল পায়ে স্ট্রং দুই সেন্টারব্যাক খুব সহজেই সেন্টার এরিয়ায় শর্টপাসের মাধ্যমে অপনেন্টের ফার্স্ট প্রেসিং লাইনকে বিট করে ফেলে। এজন্য ফাইনাল থার্ডে বায়ার্ন মিউনিখকে প্রেস করে বল পজেশন রিগেইন করা বার্সেলোনার জন্য বেশ কঠিন হবে। 

 

সানে উইঙ্গার পজিশনে খেললেও তাকে সাধারণত ফাইনাল থার্ডের লেফ্ট হাফস্পেস এরিয়ায় অপারেট করতে দেখা যায়৷ বিল্ডআপের শুরু থেকেই ডেভিস হাইলাইনে পুশ হয়ে লেফ্ট উইং স্ট্রেচ করতে শুরু করে। এসময় মুলার সেন্ট্রাল এরিয়া থেকে কিছুটা রাইট হাফস্পেসের দিকে মুভ করে। রাইট উইঙ্গার গ্যানাব্রিকে সাধারণত টাচলাইনে পজিশন হোল্ড করে লাইন স্ট্রেচ করতে দেখা যায়। এর মানে দাড়ায় ফাইনাল থার্ডে ডেভিস এবং গ্যানাব্রি দুই উইঙ স্ট্রেচ করে এবং সানে মুলারের সাথে সেন্টার এরিয়ায় অপারেট করে থ্রেট ক্রিয়েট করার চেষ্টা করে। মুলার এবং সানে সাধারণত অপনেন্টের ডিফেন্ডার এবং মিডফিল্ডারদের মধ্যকার ইন বিটুইন দ্যা লাইনের ফ্রি স্পেসে পজিশন হোল্ড করে সরাসরি বক্সে অথবা ওয়াইড এরিয়ায় বল সার্কুলেট করার চেষ্টা করে। 

 

এক্ষেত্রে চান্স ক্রিয়েট করা কিংবা ফরোয়ার্ড প্লে কন্টিনিউ করার জন্য তাদের ফ্রি স্পেসের প্রয়োজন। মুলারকে কালেভদ্রেই ড্রিবল এটেম্পট নিতে দেখা যায়, সানে প্রায়ই ড্রিবল এটেম্পট নিলেও ওয়ান অন ওয়ান সিচুয়েশনে তার ড্রিবল সাক্সেস রেট বেশ লো। যেকারণে সেন্ট্রাল এরিয়ায় টাইট স্পেসের মধ্যে তাদের জন্য ফাইনাল বল সার্কুলেট করাটা বেশ কঠিন হবে।

 

জাভির প্লেয়িং সিস্টেমে মিডফিল্ডাররা দুইটা ভিন্ন ভিন্ন লাইনে অপারেট করে, দুই পিভট ব্যাক থ্রির কিছুটা উপরে পজিশন নিয়ে নিজেদের থার্ডের হাফস্পেস শিল্ড করে এবং দুই ইন্টেরিয়র অপনেন্ট মিডফিল্ড এবং ডিফেন্সলাইনের মধ্যকার ফ্রি স্পেসে অপারেট করে। এক্ষেত্রে বার্সেলোনার দুই পিভট বুসকেটস এবং নিকো যদি অফ দ্যা বলে তাদের লাইন থেকে কিছুটা নিচে পজিশন নিয়ে মুলার-সানের স্পেস নালিফাই করে ফেলে তবে তাদের পক্ষে বার্সার পিভট লাইন ব্রেক করো ফাইনাল পাস বাড়ানোটা বেশ কঠিন হয়ে পড়বে।

বায়ার্নের বক্সের ভেতরে থ্রেট ক্রিয়েশনের রেট পুরোপুরিভাবেই মুলার এবং লেভানডোস্কি ডিপেন্ডেন্ট। পার ৯০ তে মুলারের ৪.২২ পাস থেকে শট এটেম্পট নেওয়ার সুযোগ তৈরী হয় এবং মুলারের গোল ক্রিয়েটিং একশন ১.১৪ পার ৯০, যেখানে তার টিমমেটদের মধ্যে কেউ তার ধারেকাছেও নেই। অন্যদিকে এই সিজনে চ্যাম্পিয়ান্স লিগে বায়ার্নের মোট গোলের ৫০% ই এসেছে লেভানডোস্কির পা থেকে। এর থেকেই বোঝা যায় গোল করার জন্য বায়ার্ন মিউনিখ মুলার এবং লেভারডোস্কির উপর কতোটা ডিপেন্ডেন্ট। এজন্য বার্সেলোনা যদি কোনভাবে মুলার এবং লেভানডোস্কিকে আউট অব দ্যা প্লে রাখতে পারে, তবে বায়ার্নের গোল করার সুযোগ অনেকটাই কমে আসবে স্বাভাবিকভাবেই। 

 

 

১

উপরের ছবির দিকে যদি খেয়াল করি, ফাইনাল থার্ডে বল রিসিভ করার পর মুলার তার সামনে হিউজ ফ্রি স্পেস পেয়ে গেছে। বার্সেলোনা ব্যাকলাইন ওয়েল অর্গানাইজড থাকলেও কেউ মুলারকে ব্লক করতে স্টেপ আপ করেনি, বুসকেটসের সাথেও মুলারের বেশ অনেকটা গ্যাপ ছিলো। যেকারণে হিউজ স্পেসের মধ্যে শট এটেম্পট নিয়ে বায়ার্নকে ওপেনিং গোল এনে দিতে কোন সমস্যাতেই পড়তে হয়নি।

 

তবে মুলার আর লেভানডোস্কিকে কি আদৌ বার্সেলোনার পক্ষে আউট অব দ্যা প্লে রাখা সম্ভব? মুলারের মতো চান্স ক্রিয়েটর যে কিনা মাঠের মিনিমাম ফ্রি স্পেসেও নিজেকে খুজে নেয় এবং লেভানডোস্কির মতো ডেডলি ফিনিশারকে গোল করা থেকে আটকে রাখা মোটেও সহজ কাজ নয়। 

 

মুলার সাধারণত ওয়ান অন ওয়ান ব্যাটেলে খুব একটা এফেক্টিভ না, এজন্য তাকে খুব একটা ড্রিবল এটেম্পট করতে দেখা যায়না। সে তার পজিশনিং সেন্সকে কাজে নিয়ে ফাইনাল থার্ডে ফ্রি স্পেস খুজে নেয় এবং সেখান থেকে থ্রেট ক্রিয়েট করার চেষ্টা করে। মুলারকে সরাসরি ম্যান মার্ক করে তাকে ফ্রি স্পেসে অপারেট করার সুযোগ না দিলেই তাকে অনেকটা নিউট্রালাইজ করে ফেলা সম্ভব, যদিও মুলারকে মার্ক করাটা মোটেও সহজ কাজ নয়। এজন্য পিভট ডুয়ো বুসকেটস কিংবা নিকোর মধ্যে একজন যদি সরাসরি মুলারকে ম্যান মার্ক করে রাখে , তবে তাকে আউট অব প্লে রাখা সম্ভব। তবে মুলারকে ম্যান মার্ক করে রাখলে বেশিরভাগ সময়ই আউট অব পজিশনে চলে যেতে হবে, যেকারণে বায়ার্নের অন্য কোন ফরোয়ার্ড সেই স্পেস কাজে লাগিয়ে থ্রেট ক্রিয়েট করার সুযোগ পেয়ে যাবে। এজন্য অপর পিভটকে ফেলে রাখা সেই স্পেসে অপারেট করে স্পেস নালিফাই করে রাখতে হবে।

 

লেভানডোস্কি বক্সের মধ্যে খুবই স্ট্রং, তার এরিয়াল এবিলিটিও অনেক ভালো। এজন্য বার্সার সেন্টারব্যাকদের পক্ষে লেভানডোস্কিকে সরাসরি ম্যান মার্ক করে তাকে আটকে রাখা বেশ কঠিন হবে। তবে বার্সেলোনা যদি আরাউহো-পিকে-গার্সিয়া সেন্টারব্যাক ট্রায়ো নিয়ে খেলতে নামে, তবে পিকে এবং গার্সিয়ার উপর সরাসরি লেভানডোস্কিকে মার্ক করে রাখার দায়িত্ব থাকা উচিত। পিকে যেহেতু এরিয়ালি স্ট্রং তাই পিকের রোল হবে উইং থেকে লেভানডোস্কি বরাবর ক্রসগুলো ডিফেন্ড করা এবং এজন্য পিকেকে পুরো ম্যাচে লেভানডোস্কিকে টাইট ম্যান মার্ক করে রাখতে হবে। পিকে টাইট মার্ক করে রাখলে লেভানডোস্কি বিহাইন্ড দ্যা ডিফেন্সে অনেক ফ্রি স্পেস পাবে, গার্সিয়ার রোল হবে লেভানডোস্কিকে সরাসরি ম্যান মার্ক না করে তার বিহাইন্ড দ্যা ডিফেন্স রানগুলো ট্র্যাক করে সেখান থেকে বল এন্টিসিপেট করার চেষ্টা করা।