একজন শেভা ও একটি ভালোবাসার গল্প
পোস্টটি ১৪৬৫ বার পঠিত হয়েছেনিজ দেশে তিনি মহানায়ক। শুধুমাত্র ফুটবল দিয়ে যে দেশবাসীর এতটা ভালোবাসা পাওয়া যায়, তাঁর জন্ম না হলে ফুটবল বিশ্ব হয়তো জানতেই পারতোনা। ম্যারাডোনা, পেলে, জিদানরা হয়তো সারা বিশ্ববাসীর ভালোবাসা পেয়ে সিক্ত হয়েছেন, সমাদৃত হয়েছেন সবখানে; কিন্তু নিজের দেশে শেভা যতটা ভালোবাসা অর্জন করেছেন, মনে হয়না ফুটবল ইতিহাসে সেটা আর কেউ পেরেছেন।
১৯৭৬ সাল। আজ রাশিয়ার মুহুর্মুহু আক্রমণে বিধ্বস্ত যে ইউক্রেন, সে দেশেরই এক ছোট্ট পাড়াগাঁয়ে জন্মগ্রহণ গ্রহণ করেন শেভা। ইউক্রেনের অবশ্য তখনও জন্ম হয়নি, তখনও তারা ছিলো সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ। বাবা মাইকোলা শেভচেঙ্কো আদর করে ছেলের নাম রাখলেন আন্দ্রেই। গ্রিক ভাষা থেকে আগত আন্দ্রেই শব্দের অর্থ "বলিষ্ঠ"। পুরো নাম আন্দ্রেই মাইকোলায়োভিচ শেভচেঙ্কো।
তার বয়স যখন তিন বছর, তখন তার পরিবার পাড়ি জমায় পার্শ্ববর্তী শহর কিয়েভের এক শহরতলিতে। সেখানে গিয়ে স্থানীয় এক স্কুলে ভর্তি হন শেভা। ফুটবলের প্রতি তার আগ্রহ ছিলো শৈশব থেকেই। সেটা নজরে আসে ওই স্কুলের ক্রীড়া বিভাগের শিক্ষক ওলেকসান্দর শপাকভের। অবশেষে হাত ধরেই শেভার ফুটবলে হাতেখড়ি হয়।
বাল্যকালে বক্সিংয়েও একবার নাম লিখিয়েছিলেন শেভা, জুনিয়র লিগে অংশও নিয়েছিলেন বেশ কয়েকবার। কিন্তু রক্তে যার ফুটবল, সে কি কখনো ফুটবলের বাইরে যেতে পারে? শেভাও পারেননি। আবারও ফিরে আসেন ফুটবলে।
সময় ভালোই কাটছিলো। কিন্তু হঠাৎ ঘটে যায় এক দূর্ঘটনা। কিয়েভ থেকে ৬২ মাইল উত্তরে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিধ্বস্ত হয়। সাময়িক ভাবে শহর ছাড়তে বাধ্য হয় শেভার পরিবারসহ শহরের সবাই।
১৯৮৬ সালে কিয়েভের এক স্পোর্টস স্পেশালিষ্ট স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন করেন তিনি। কিন্তু তার দূর্ভাগ্য, ড্রিবলিং টেস্টে গিয়ে বাদ পড়ে যান শেভা। তবে এর কিছুদিন পরেই তার ভাগ্য খুলে যায়। তখন শেভা স্থানীয় এক যুব টুর্নামেন্ট খেলছিলেন। সেসময় ডায়নামো কিয়েভের এক স্কাউটের নজরে আসেন তিনি। খাঁটি জহুরির হিরে চিনতে ভুল হয়না। প্রথম দেখাতেই সেই স্কাউট মুগ্ধ হন ও শেভাকে ডায়নামো কিয়েভে নিয়ে যান।
চার বছর পর ডায়নামো কিয়েভের অনূর্ধ্ব-১৪ দলের হয়ে ইয়ান রাশ কাপে অংশ নেন শেভচেঙ্কো। সেই টুর্নামেন্টে টপ স্কোরার হন শেভা এবং পুরস্কার স্বরুপ ইয়ান রাশের বুট জয় করেন।
ডায়নামো কিয়েভের সিনিয়র টিমের হয়ে তার ডেব্যু হয় ১৯৯৩ সালে। তারপর একের পর এক ট্রফি জিতে নেন। ইউক্রেনে তখন রাজত্ব চলছিলো কিয়েভের। তার অংশ হন তিনিও। ১৯৯৯ সালে ডায়নামো কিয়েভ ছাড়ার আগে টানা পাঁচটি লিগ শিরোপা জয় করেন। সেই সাথে তিনবার করে জিতে নেন ইউক্রেনিয়ান কাপ ও কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস কাপ।
তবে কিয়েভের হয়ে তার সবচেয়ে বড় কীর্তি বা স্মরণীয় মূহুর্তের কথা যদি বলতে হয়, তাহলে সেটা অবশ্যই ১৯৯৭-৯৮ চ্যাম্পিয়নস লিগে ক্যাম্প ন্যু তে সেই ম্যাচ। বার্সার মাঠে বার্সার বিপক্ষে সেদিন প্রথমার্ধেই হ্যাট্রিক করে বসেন আন্দ্রেই শেভচেঙ্কো। এর পরের সিজনে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষেও দুই লেগ মিলিয়ে হ্যাট্রিক করেন শেভা।
১৯৯৯ সালে তৎকালীন রেকর্ড ২৫ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার ফি তে তাঁর স্বপ্নের ক্লাব এসি মিলানে যোগ দেন শেভচেঙ্কো। মিলানে খেলা নিয়ে তিনি বলেন, "When I was a child, it was my dream to be a professional footballer. When I was 14 I visited Milan’s San Siro stadium and remember thinking how unbelievable it was. From then onwards I vowed that one day I would be playing there – and I am very proud that I achieved this and also for everything else I have managed to achieve in football"
সেবছর আগস্টে মিলানের হয়ে অভিষেক হয় তার। সে মৌসুমে ৩২ ম্যাচ খেলে ২৪ গোল করেন শেভা। সেই সাথে সিরি আর ইতিহাসে ষষ্ঠ বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে লিগ শিরোপা জয়ের গৌরব অর্জন করেন।
২০০২-০৩ মৌসুমে প্রথম ইউক্রেনিয়ান হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় করেন আন্দ্রেই শেভচেঙ্কো। মিলানের সেবারের জয়ে শেভা একটু বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। সেমি ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানের বিপক্ষে অতীব গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ে গোল করেন তিনি। এরপর ফাইনালে জুভেন্টাসের বিপক্ষে পেনাল্টি শুট আউটে মিলানের জয়সূচক গোলটিও আসে তাঁর পা থেকেই।
২০০৩-০৪ মৌসুমে পাঁচ বছর পর স্কুদেত্তো জয় করে এসি মিলান। ১৯৯৯-০০ এর পর সেবার আবারও ৩২ ম্যাচে ২৪ গোল করেন শেভা এবং দ্বিতীয়বারের মতো সিরি আ টপ স্কোরার হন। তাঁর গোলে পোর্তো কে হারিয়ে সেবার ইউয়েফা সুপার কাপও জয় করে মিলান। অতঃপর সেবছর আগস্টে তাঁর তিন গোলে ল্যাৎসিও কে হারিয়ে মিলান ঘরে তোলে সুপারকোপা ইতালিয়ানা।
অতঃপর ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন শেভা। ওলেগ ব্লোখিন ও ইগোর বেলানোভের পর তৃতীয় ইউক্রেনিয়ান প্লেয়ার হিসেবে সেবার তার হাতে ওঠে ব্যালন ডি'অর।
চেকবোন ফ্র্যাকচারের কারণে বেশ কিছু ম্যাচ মিস করার পর ২০০৪-০৫ সিজনে ১৭ টি গোল করেন শেভা। পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে আরও একটি রেকর্ড গড়েন তিনি। ২০০৫ সালের ২৩ নভেম্বর ফেনেরবাচের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৪-০ গোলের জয়ে চারটি গোলই আসে তাঁর পা থেকে। মার্কো ফন বাস্তেন, সিমোন ইনজাগি, দাদো প্রসো ও রুড ফন নিস্টলরয়ের পর পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে এ অনন্য রেকর্ড গড়েন শেভা।
তবে সেবার ফাইনালে লিভারপুলের বিপক্ষে অতি গুরুত্বপূর্ণ পেনাল্টি মিস করে বসেন শেভচেঙ্কো। তার সে পেনাল্টি মিসেই সেবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ হাতছাড়া হয় মিলানের।
পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে অলিম্পিক লিওঁর বিপক্ষে মিলানের হয়ে তাঁর সর্বশেষ গোল করেন শেভা। এরপর সেমিফাইনালে বার্সার বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় রোজোনেরিদের। অবশ্য বার্সার বিপক্ষেও সমতাসূচক গোল করে ফেলেছিলেন শেভচেঙ্কো, কিন্তু রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে সে গোল বাতিল হয়। সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ার পরও ১২ ম্যাচে ৯ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন আন্দ্রেই শেভচেঙ্কো।
২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মিলানের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে অধিষ্ঠিত হন শেভচেঙ্কো। মিলানের সাথে সাত বছরের পথচলায় ২৯৬ ম্যাচ খেলে মোট ১৭৫ টি গোল করেন শেভা।
২০০৬ সালের ২৮ মে ইংলিশ ক্লাবের তৎকালীন রেকর্ড প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি তে মিলান ছেড়ে চেলসিতে যোগ দেন আন্দ্রেই শেভচেঙ্কো। ১৩ আগস্ট লিভারপুলের বিপক্ষে কমিউনিটি শিল্ড ম্যাচে চেলসির হয়ে তাঁর অভিষেক হয়। অবশেষে ২৩ আগস্ট মিডলসব্রোর বিপক্ষে ব্লুজদের হয়ে প্রথম গোলের দেখা পান।
২০০৬-০৭ সিজনে ৫১ ম্যাচে ১৪ গোল করেন শেভা। সে মৌসুমেই ইউরোপিয়ান কম্পিটিশনে নিজের ৫৭তম গোল করার মাধ্যমে ইউরোপিয়ান গোলস্কোরারের তালিকায় জার্ড মুলারের পর দ্বিতীয় স্থানে চলে আসেন শেভা।
এরপর তাঁর ক্যারিয়ারে বাজে সময় শুরু হয়। চেলসি ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে ছিটকে যান হোসে মরিনহো। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নেন আভ্রাম গ্রান্ট। ইঞ্জুরি ও অফফর্ম জেঁকে বসে শেভচেঙ্কোর ওপর৷ সবমিলিয়ে চেলসি একাদশে একদমই অনিয়মিত হয়ে পড়েন শেভচেঙ্কো।
এরপর এক সিজনের জন্য লোনে মিলানে ফেরত আসেন শেভা। কিন্তু চেনা শেভচেঙ্কো যেন পুরোপুরি অচেনা হয়ে গেছে। লিগে সেবার একটাও গোলের দেখা পাননি তিনি। মিলানের হয়ে সে মৌসুমে মোট ২৬ ম্যাচ খেলে গোল করেন মাত্র দুইটি।
চেলসির হয়ে আর মাঠে ফিরতে পারেননি শেভা। অবশেষে ২০০৯ সালে আবার ফেরত আসেন শৈশবের ক্লাব ডায়নামো কিয়েভে। সেখানে তিনবছর কাটিয়ে অবশেষে ফুটবলকেই বিদায় জানিয়ে দেন শেভা।
ইউক্রেন জাতীয় দলের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও শেভার দখলে। জাতীয় দলের জার্সিতে ১১১ টি ম্যাচে ৪৮ টি গোল করেছেন আন্দ্রেই শেভচেঙ্কো। তবে মূলত ২০০৬ বিশ্বকাপে ইউক্রেন কে কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে যেতে বিশেষ অবদানের জন্যই তিনি ইউক্রেনে জাতীয় বীর হিসেবে সমাদৃত হন।
সেবার কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ৬ টি গোল করে ইউক্রেন কে চূড়ান্ত পর্বে নিয়ে যান শেভা। তার গোলে গ্রুপ স্টেজে সৌদি আরব ও তিউনিসিয়া কে হারিয়ে রাউন্ড অব সিক্সটিনে পৌঁছে যায় ইউক্রেন। সেখানে পেনাল্টি শুট আউটে সুইজারল্যান্ড কে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যায় তারা। অবশেষে ইতালির কাছে হেরে শেষ হয় তাদের স্বপ্নযাত্রার।
২০১২ সালে ইউরো গ্রুপ স্টেজে তার জোড়া গোলে সুইডেন কে ২-১ গোলে হারায় ইউক্রেন। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় তাদের। আর এ পরাজয়ের পরপরই আন্তর্জাতিক ফুটবল কে বিদায় জানিয়ে দেন শেভচেঙ্কো।
শেভা ফুটবল কে বিদায় জানালেও ফুটবল শেভা কে বিদায় জানায়নি। ফুটবল যার সত্ত্বায় মিশে আছে, তাকে কি এত সহজে বিদায় জানানো যায়? ফলাফল, আবারও ফুটবলে ফিরে আসলেন শেভা।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তে ইউক্রেন জাতীয় দলে ফিরলেন শেভা, তবে এবার আর খেলোয়াড় হিসেবে নয়, সহকারী কোচ হিসেবে। পাঁচ মাস পার হতেই সহকারীর পদ থেকে প্রধান কোচের আসনে প্রোমোশন পেলেন। তার হাত ধরেই ২০১৯ সালে ডিফেন্ডিং ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল কে হারিয়ে ইউক্রেন জায়গা করে নেয় ইউরো ২০২০ এর মূল পর্বে।
ইউরো ২০২০ এও ঝলক দেখাতে শুরু করে শেভার ইউক্রেন। গ্রুপ স্টেজের বাধা পেরিয়ে রাউন্ড অব সিক্সটিনে পৌঁছে যায়। সেখানে অতিরিক্ত সময়ের গোলে পরাজিত করে সুইডেন কে। অবশেষে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে ইউরো থেকে বিদায় নিতে হয় সেবারের মতো। ইউক্রেনের ইউরোপিয়ান ফুটবলের ইতিহাসে এখন অবধি এটাই সর্বোচ্চ সাফল্য।
সাফল্য পাওয়ার পরও জাতীয় দলের সাথে আর কন্টিনিউ করেননি শেভা। ইউক্রেন ছেড়ে এরপর যোগ দেন ইতালিয়ান দল জেনোয়ায়। কিন্তু সেখানে সাফল্য আসেনি। ফলে দুই মাস পরই দায়িত্ব থেকে অব্যহতি পান।
আন্দ্রেই শেভচেঙ্কো ছিলেন একজন অলরাউন্ড স্ট্রাইকার। তিনি ছিলেন ক্ষিপ্র, পরিশ্রমী, এনার্জেটিক। গোলপোস্টের সামনে তিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য, একজন খাঁটি প্রলিফিক গোলস্কোরার। মূলত সেন্টার ফরওয়ার্ডে স্ট্রাইকার হিসেবে খেললেও খেলতে পারতেন ফরওয়ার্ডের যেকোনো জায়গায়। তবে তিনি সবচেয়ে কার্যকর ছিলেন ফ্রি রোলে, যেখানে তিনি এটাক করতেন মূলত লেফট উইং দিয়ে। সেখান থেকে বিপক্ষ ডিফেন্ডার কে মূহুর্তেই হতবিহ্বল করে বক্সে ঢুকে পড়তেন ও বল ঢুকিয়ে দিতেন জালে।
ফুটবল ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা লিথাল স্ট্রাইকার হিসেবে গণ্য করা হয় তাঁকে। পজিশনাল সেন্সে তিনি ছিলেন অসাধারণ। অফ দ্য বল মুভমেন্ট ও ফিনিশিং এ অতুলনীয়। তার শুটিং অ্যাকুরেসি ছিলো অন্য লেভেলের। তাকে তুলনা করা হতো আরেক কিংবদন্তি মিলান স্ট্রাইকার মার্কো ফন বাস্তেনের সাথে। সেট পিসেও তিনি দারুণ ছিলেন, স্পেশালি পেনাল্টি কিকে তাকে স্পেশালিষ্ট বলা যায়।
ইউরোপিয়ান কম্পিটিশনে সপ্তম সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। মিলানের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। মিলান ডার্বিতে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডও তাঁর দখলে। ইউক্রেনের জার্সিতেও সর্বোচ্চ গোল এসেছে তাঁর পা থেকেই। শিরোপা জয়ের পাল্লাটাও তার বেশ ভারী। জিতেছেন প্রায় সবকিছুই। লিগ টাইটেল জয় করেছেন অসংখ্যবার, সেই সাথে জিতেছেন ক্লাব পর্যায়ের সর্বোচ্চ শিরোপা ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। আর সেই সাথে ব্যক্তিগতভাবে জয় করেছেন সেই পদক, যা বিশ্বের সব খেলোয়াড়ের আরাধ্য, সেই ব্যালন ডি'অর।
আর গ্রেটনেস? "If my goals and victories can help the world remember Chernobyl and bring a smile to the face of the people still suffering then I dedicate all my success to them." - Andriy Shevchenko. আর কিছু বলতে হবে?
শুধু ইউক্রেনিয়ান বা মিলানবাসীর কাছে নয়, সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমী কোটি কোটি মানুষের কাছে শেভচেঙ্কো একটা আবেগের নাম। ফুটবল, ভালোবাসা, আবেগ, শেভা, গোল - নামগুলো যেন একটি অপরটির পরিপূরক। একজন কিংবদন্তি ফুটবলার? নাহ, তার চেয়েও বেশি কিছু।
- 0 মন্তব্য