• ক্রিকেট

কোলকাতা দলে ডেভিড ভিসাকে নেওয়া কি ঠিক ছিল?

পোস্টটি ৭৫৯ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

কোলকাতার কালকের ম্যাচে ডেভিড ভিসার ইনক্লুশনের কোন ট্যাকটিক্যাল গ্রাউন্ড ছিল বলে আমার মনে হয়না।

ডেভিড ভিসা একজন অলরাউন্ডার। বল হাতে ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারেন, ব্যাট হাতে ক্যামিও দেখাতে পারেন।সেই ভিসাকে নেওয়া হল লিটন দাসের বদলে। লিটন দাস একজন ওপেনার। আপনি বলতে পারেন, লিটনের বদলে ডেভিডকে নেওয়ায় আমি সেই রাগ উসুল করছি। কিন্তু আদতে মোটেও তা নয়। একজন ওপেনারের বদলে একজন লোয়ার অর্ডার ব্যাটিং অলরাউন্ডারকে দলে নেওয়ার মাঝে কি ট্যাকটিকস থাকতে পারে? যেখানে কোলকাতা টিমে আহামরি কোন টপ অর্ডার নেই।

ডেভিড ভিসাকে অবশ্যই নেওয়া যেত, কিন্তু সেটা নিতে হল আন্দ্রে রাসেলের রিপ্লেসে। ওপেনার হিসেবে জেসন, গুরবাজ আর লিটনের মধ্যে যেকোন দুজনকে তাই খেলাতেই হল কোলকাতাকে।

এবার আসি ভিসাকে যখন বলে আনা হল সেই সময়টাতে। ভিসাকে যখন বলে আনা হল, তখন ব্যাট করছে ঋতুরাজ গাইকোয়ান্দ আর ডেভিড কনওয়ে। বাহাতি-ডানহাতি এই কম্বিনেশনের ক্ষেত্রে অবশ্য ভিসার কোন প্রেফারেন্স নেই। কারণ ২০১৯ থেকে সাব কন্টিনেন্টে খেলা ১২১ ফ্রাঞ্চাইজি টি-২০ ম্যাচের হিসাবে-

*ডানহাতিদের বিপক্ষে ভিসার ইকোনমি ৮.৭৬
* বাঁহাতিদের বিপক্ষে ভিসার ইকোনমি ৮.১৩

তবে এদিক দিয়ে পার পেলেও পাওয়ারপ্লের শুরুতেই ভিসাকে বোলিংয়ে আনার কোন মানে খুঁজে পাওয়া যায়না। কাল ইডেন গার্ডেনে যে ম্যাচটা হয়েছে সেটা হয়েছে ৪ নং পিচে। এই পিচে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পায় এক্সপ্রেস পেসাররা। উইকেটে ঘাস থাকায় বাউন্স কাজ করে, ফলে এজড কিংবা পয়েন্টে ক্যাচ ওঠার সম্ভাবনা বাড়ে। কিন্তু যে ধরণের পেসার এই পিচে শুরুতেই বল করতে স্বচ্ছন্দ্য বোধ করবেন, ভিসা মোটেও সে ধরণের পেসার নন। এই পিচে সাউদি আর লকিকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখে কিভাবে ভিসাকে খেলানো হল সেটাই একটা বিরাট বড় রহস্য।

IMG_20230424_032845

সে যাক, ভিসাকে যে পাওয়ারপ্লেতে আনা হল- এটাও কি ভাল সিদ্ধান্ত? হওয়ার কথা নয়। আপনি যদি সংযুক্তি ছবিতে ভিসার ওভারপ্রতি স্ট্রাইক রেট দেখতে পান তাহলে দেখবেন, সাব কন্টিনেন্টের টি-২০ তে পাওয়ারপ্লেতে ভিসার ইকোনমি রেট ৮.২৯, যেটা পাওয়ারপ্লের পরের ছয় ওভারে ৭.২৪। এমনিতে পিচ ভিসার বোলিংয়ে যায়না, তার ওপর পাওয়ারপ্লেতেই ভিসাকে বোলিং করানো খুব একটা চৌকস কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে, পাওয়ারপ্লে'র দুই ওভারেই ভিসা দিয়েছেন ২৩ রান। অবশ্য পাওয়ারপ্লের পরের ওভারে যখন তিনি বল করতে এসেছেন, ততক্ষণে ম্যাচ চলে গেছে হাতের বাইরেই!

20230424_032624_0000


ডেভিড ভিসা খুব সম্ভবত আরেকটা সুযোগ পাবেন না। যদি পানও, সেটা হওয়া উচিত রাসেলের রিপ্লেসে। কেননা, রাসেল আর ভিসাকে একই টিমে রাখলে দলে কম্বিনেশন ঠিক থাকেনা।