কেমন পাণ্ডব চেয়েছিলেন আপনি..
পোস্টটি ১০০০ বার পঠিত হয়েছেতুলনা কিংবা আমাদের কিংবদন্তিদের ছোট করছি না..!
যদি অনুমান ঠিক হয় তাহলে ছবিদুটো প্রায় একই চিন্তাধারা থেকে তোলা..!
কিন্তু একটায় ধারে-ভারে কমতি নেই অন্যটার আবেগের কমতি নেই!
আমাদের ক্রিকেটে হয়ত অবদানের কথা বললে এই ৫ জন সর্বাগ্রে থাকবে কিন্তু আমি একটা কথা সবসময় বলি সেটা হচ্ছে যবে থেকে এই পঞ্চপান্ডব থিওরি কিংবা এই ছবিটি যখন তোলা হয়েছে তখন থেকেই আমাদের পিছনে যাওয়ার গল্পও হয়ত শুরু হয়েছে...
একটি দেশের ক্রিকেট টিমে তৈরি হয়েছে বিমানের সিটের মত শ্রেণীবিন্যাস!!
সিনিয়র কিংবা অভিজ্ঞতার দাম সবসময় সবার উপরে নিঃসন্দেহে কিন্তু সেটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা-চিৎকার-চেচামেচি সব করবে সমর্থকগণ আর দল গঠন হবে পারফর্মারদের নিয়ে..!
এমনকি মিডিয়াও সেটা ফলাওভাবে প্রচার করতে পারে না করলেও সীমিতভাবে করা যায়..!
মিডিয়ার তৈরি খাদ্য হওয়া উচিত ছিলো পারফর্মারদের গল্প কিন্তু তারা উৎপাদন করছে ভিউ বাড়ানোর আবেগ-মসলা!
কিন্তু ড্রেসিংরুমে এই শ্রেণীবিভাগ কতটা ভয়ংকর হতে পারে তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে..!
আমাদের কথিত জুনিয়র ক্রিকেটাররা বুড়িয়ে যাচ্ছে কিন্তু জুনিয়র তকমা সরছে না তাদের পারফর্মারও হয়ে ওঠা হচ্ছে না!!
আমরা সবসময়ই বলি যে তাদের অবদান অনেক..
কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয় কি তাহলে তার উত্তর কি!
হুম আমরা কখনোই ভালো দল ছিলাম না কিন্তু যখন আমরা ভালো দল হতে তাদের উপর ইনভেস্ট করলাম তারা কি দিয়েছে..!
অবদানের কথা তো তখন আসা উচিত যখন কোনো ফলাফল আসবে কই কোনোপ্রকার ফলতো এখন পর্যন্ত আসেনি!
৫০ ম্যাচ শেষে যখন,
৭০ স্ট্রাইক রেটের ড্যাশিং ওপেনারের দেশসেরা ওপেনার,
১৯ এভারেজের একজন মি: ডিপেন্ডবল,
৬৯ স্ট্রাইকরেটের একজন ফিনিশার,
৬৭ স্ট্রাইকরেটের একজন অলরাউন্ডার হয়ে ওঠে তাদের অবদান নয় বরং ঋণ পরিশোধের আলোচনা হওয়া উচিত কারণ তাদের পিছনে আমাদের সময়,টাকা সবকিছুর ইনভেস্ট করা হয়েছিলো!!
যদি বলেন ভালো একটা জায়গায় নিয়ে আসছে তাহলে ভালোর মানদণ্ড কি আর ভালো কাকে বলি আমরা!
তাছাড়া ভালো করতেই তো তাদের পিছনে আমরা ইনভেস্ট করেছি কিন্তু আমাদের অর্জনের খাতা এখনো শূন্য নয় কি!
আমার উদ্দেশ্য সমালোচনা করে তাদের মুন্ডুপাত করানো নয় বরং এটা বলা যে তাদের সম্মান ঠিক ততটাই হওয়া উচিত যতটা তারা প্রাপ্য..!
কোনো পীর,ঋষি-মুনিতো নয়ই!
যদি বাংলাদেশ ক্রিকেটে অর্জনের হিসাব করি তাদের ৫ জনের চেয়ে মোসাদ্দেকের অবদান কিঞ্চিৎ কম নয় বরং অনেকটাই বেশি যদি আমাদের একমাত্র টুর্নামেন্টে জয়ের গল্প লিখি!!
অন্য দেশের সিনিয়ররা যখন শিরোপা জয়ের গল্প শোনাবে আমাদের ড্রেসিংরুমে তখন চলবে স্ট্যাটপ্যাডিংয়ের গল্প আর জুনিয়ররাও শিখবে তাই!!
রিয়াদ-মুশি-সাকিবের চিন্তাভাবনায় যদি ২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হয় তাহলে ২৭ সালের বিশ্বকাপের দল কখন তৈরি করবে আর তারা যদি বিশ্বকাপ খেলতে চায় তখন ফিটনেস,বয়স তাদের কতটা সমর্থন করবে সেটার বাস্তব আলোচনা হওয়া উচিত আর সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করা উচিত!
হয়ত তৎক্ষনাৎ রেজাল্ট আসবে না কিন্তু এমন পরিকল্পনা হওয়া উচিত যেটি দীর্ঘমেয়াদি ফল দিবে!!
অন্য সবকিছুর মতোই মতামতে ভুল থাকতে পারে তাই ক্ষমা প্রার্থনা করছি!!
- 0 মন্তব্য